নিউজ ডেস্ক : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২.৩৪ কিলোমিটার দীর্ঘ মীরপুর-কালশী ফ্লাইওভারের উদ্বোধন করবেন আজ।
রোববার সকাল ১০টায় কালশী বালুর মাঠে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ফ্লাইওভারের উদ্বোধন করবেন তিনি।
এ অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মাঝে উপস্থিত থাকবেন স্থানীয় সরকার ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম, ঢাকা উত্তর সিটি মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম, চিফ অব আর্মি স্টাফ জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ ও স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মুহাম্মদ ইবরাহিম।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্বোধনের পর চারলেন তিন র্যাম্পের ফ্লাইওভারটি চালু হলে মিরপুরের সঙ্গে বনানী, উত্তরা এবং রাজধানীর পূর্বাংশের যোগাযোগ আরও সহজ হবে।
বিমানবন্দর-উত্তরা থেকে মিরপুর এলাকায় প্রবেশের মূল রুট কালশী সড়কে যানজট লেগে থাকতো সব সময়। যানজটের ভয়ে ১০ কিলোমিটার এলাকা ঘুরে মিরপুরে যাতায়াত করতে হচ্ছিলো।
সরকারি অর্থায়নে ২.৩৪ কিলোমিটারের কালশী ফ্লাইওভার নির্মাণ করছে সেনাবাহিনী।
ইসিবি চত্তর থেকে মিরপুর পর্যন্ত সড়ক প্রশস্তকরণ ও উন্নয়ন এবং কালশী সার্কেলের ওপর ফ্লাইওভার নির্মাণ প্রকল্পের আওতায়- ২৩৩৫ মিটার দীর্ঘ ফ্লাইওভারটি নির্মিত হয়েছে। এছাড়াও এই প্রকল্পের আওতায় ইসিবি স্কোয়ার থেকে কালশী পর্যন্ত ৩.৭০ কিলোমিটার রাস্তা প্রশস্ত করা হয়েছে।
একনেক ২০১৮ সালের ৯ জানুয়ারি প্রকল্পটিকে অনুমোদন দেয়। বিএনসিসি ও বাংলাদেশ আর্মি (২৪ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্রিগেড) ১,০১২ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রকল্পটি সম্পন্ন করেছে।
প্রকল্প বিবরণী অনুযায়ী ফ্লাইওভারটি ইংরেজি ‘ওয়াই’ অক্ষরের আদলে গড়া। এই প্রকল্পে যাত্রীদের ভ্রমণ সহজ করার লক্ষ্যে আগের চার লেন বিশিষ্ট রাস্তাগুলোকে ছয় লেন করা হয়েছে।
প্রধান চারলেন বিশিষ্ট ফ্লাইওভারটি ইসিবি স্কোয়ার থেকে কালশী ও মিরপুরের ডিওএইচএস হয়ে গেছে। দুই-লেন বিশিষ্ট র্যাম্পটি কালশী মোড় থেকে শুরু হয়ে কালশী সড়কে যাবে।
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি) পাবলিক রিলেশন অফিস জানায়, প্রকল্পটির আওতায় একটি পিসি গ্রিডার ব্রিজ, দুটি ফুল ওভার ব্রিজ, একটি পাবলিক টয়লেট, দুটি পুলিশ বক্স, একটি ৭.৪০ কিলোমিটার আরসিসি ড্রেন, একটি ১৭৫৫ মিটার আরসিসি পাইপ ড্রেন, ৩৩৮৩ মিটার যোগাযোগ তার, পৃথক সাইকেল লেন ও ছয়টি বাস-বে নির্মাণ করা হয়েছে।
প্রকল্পটি হওয়ায় মিরপুর, ডিওএইচএস, পল্লবী, কালশী, মহাখালী, বনানী, উত্তরা ও বিমানবন্দর সড়কের যানজট লাঘব বলে আশা করা হচ্ছে।