সমৃদ্ধ হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন নোয়াখালীর উড়িরচরের মানুষ

নিউজ ডেস্ক : নোয়াখালীর মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন ও সাগর-নদীর অবারিত জলরাশি বেষ্টিত উড়িরচরেও পৌঁছে গেছে বিদ্যুৎ। সীমাহীন খুশি প্রত্যন্ত জনপদটির মানুষ। দেখছেন পশ্চাৎপদ থেকে সমৃদ্ধ হওয়ার স্বপ্নও। শত কোটি টাকা ব্যয়ে সাড়ে চার কিলোমিটার সাবমেরিন ক্যাবলের মাধ্যমে উড়িরচরকে বিদ্যুতের আওতায় এনেছে সরকার।

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় মেঘনা নদীর বুকে জেগে ওঠা চর এলাহী ইউনিয়নের একটি অংশ উড়িরচর ও চর বালুয়া। জোয়ার-ভাটায় তাল মিলিয়ে চলে এখানকার মানুষের জীবন। নদী ভাঙনের শিকার নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ ও চট্টগ্রামের সন্দ্বীপের মূল ভূখণ্ড থেকে ঘর-বসতি হারা মানুষগুলো বসতি গড়েছেন নোনাবালির এ চরে।

পশ্চাৎপদ থেকে সমৃদ্ধ জনপদ হওয়ার স্বপ্ন দেখছে উড়িরচরের মানুষ। কিছুদিন আগেও যে জনপদে সন্ধ্যা নামতেই একমাত্র ভরসা ছিল কেরোসিনের কুপিবাতি কিংবা হারিকেন।

মুজিববর্ষে শত কোটি টাকা ব্যয়ে ১০ এমবিএ উপকেন্দ্র ও সাড়ে চারশ’ কিলোমিটার সাবমেরিন কেবলের মাধ্যমে উড়িরচরকে শতভাগ বিদ্যুতের আওতায় এনেছে সরকার। বিনা খরচে সংযোগ পেয়েছেন ৩০ হাজার বাসিন্দা।

কাঙ্ক্ষিত বিদ্যুতে গতি আসছে উড়িরচরবাসীর জীবনে, বেড়েছে অর্থনৈতিক কার্যক্রম।

স্থানীয়রা জানান, বাচ্চাদের পড়ালেখায় অনেক সুবিধা হয়েছে। ঠিকমতো কৃষিকাজ করতে পারছি। যদি ভেড়িবাঁধটা হয়ে যায় তাহলে অধিকহারে ফসলাদি ফলানো সম্ভব হবে।

একসময়ের অন্ধকার দুর্গম চরটি এখন আলোকিত। অপরাধপ্রবণতা আর দস্যুতার অবসানে ফিরেছে শান্তিও।

মৎস্য, কৃষি, প্রাণিসম্পদসহ সমৃদ্ধ হচ্ছে এ অঞ্চলের অর্থনীতি, বলছে নোয়াখালী পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি।

নোয়াখালী পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাকির হোসেন বলেন, “সরকারের যে অঙ্গিকার ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ সেটা সম্পন্ন হয়েছে। এর ফলে এই এলাকার আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন হবে।”

শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও জীবন-মানের উন্নয়নে সূচনা হবে নতুন দিগন্তের, এমনটাই মনে করছেন এ জনপদের বাসিন্দারা।

পূর্ববর্তী নিবন্ধপ্রীতি ম্যাচ খেলতে ঢাকায় আসছে ম্যারাডোনার ক্লাব
পরবর্তী নিবন্ধবিশ্ববাজারে স্বর্ণের বড় দরপতন