নিউজ ডেস্ক : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্প্রতি ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ নামে একটি দূরদর্শী অভিযাত্রা শুরু করেছেন। এ অভিযাত্রা তথ্য-প্রযুক্তি খাতে নারীদের সমান অংশগ্রহণ নিশ্চিতকরণের মাধ্যমে ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি উন্নত-সমৃদ্ধ দেশে রূপান্তরের স্বপ্ন বাস্তবায়নে সহায়তা করবে।
নিউইয়র্কস্থ জাতিসংঘ সদর দপ্তরে কমিশন অন দ্য স্ট্যাটাস অব উইমেনের ৬৭তম চলমান অধিবেশনের সাধারণ বিতর্কে এমন মন্তব্য করেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা।
শুক্রবার (১০ মার্চ) জাতিসংঘের বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন এ তথ্য জানায়।
সিডো ও বেইজিং প্ল্যাটফর্ম ফর অ্যাকশনের প্রতি বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ঐন্দ্রজালিক নেতৃত্বে বাংলাদেশ সরকার নারীর ক্ষমতায়নের জন্য বেশ কয়েকটি অত্যন্ত কার্যকর প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করেছে। তন্মধ্যে দেশের তৃণমূল পর্যায়ে গ্রামীণ নারী উদ্যোক্তাদের সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে প্রায় ৫ হাজার ডিজিটাল সেন্টার প্রতিষ্ঠা, দেশের অধিকাংশ জেলাগুলোতে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, কারিগরি ও ভোকেশনাল ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা, প্রান্তিক নারীদের ডিজিটাল আর্থিক সেবার জন্য নারী নেতৃত্বাধীন এজেন্ট নেটওয়ার্ক ‘সাথী’ প্রবর্তনসহ অন্যান্য বেশ কিছু তথ্য-প্রযুক্তি নির্ভর প্রকল্পের কথা উল্লেখ করেন প্রতিমন্ত্রী।
তিনি আরও উল্লেখ করেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নারীর ক্ষমতায়নে অসামান্য অবদানের জন্য গ্লোবাল উইমেনস লিডারশিপ, প্ল্যানেট ৫০-৫০ চ্যাম্পিয়ন ও এজেন্ট অব চেঞ্জ অ্যাওয়ার্ডে ভূষিত হয়েছেন।
বক্তব্যে নারীর ক্ষমতায়নের জন্য প্রয়োজনীয় প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন ও প্রযুক্তিগত শিক্ষা গ্রহণের ক্ষেত্রে মূল প্রতিবন্ধকতাগুলো চিহ্নিত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের ওপর জোর দেন প্রতিমন্ত্রী।
তাছাড়া তথ্য-প্রযুক্তি খাতে লিঙ্গ সমতা নিশ্চিত করতে সক্ষমতা বৃদ্ধি ও প্রযুক্তি হস্তান্তরের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা আরও জোরদার করার আহ্বান জানান ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা।
প্রতিমন্ত্রী সাধারণ বিতর্কের আগে আফগান নারী ও মানবাধিকার বিষয়ক মার্কিন বিশেষ দূত রিনা আমিরির সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন। এছাড়া নিউইয়র্কে সফররত প্রতিনিধিদের জন্য সৌদি আরবের স্থায়ী মিশন কর্তৃক আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে যোগদান করেন।