আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে ইউরোপীয় ক্রেতারা যখন রুশ জ্বালানি থেকে মুখ ঘুরিয়ে নিয়েছে, তখন রাশিয়ার দিকে বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে ভারত-চীনের মতো দেশগুলো। রুশ তেলের বাজারে ইউরোপীয়দের রেখে যাওয়া শূন্যস্থান দ্রুত পূরণ করছে তারা। গত বছর ভারতে রাশিয়ার তেল বিক্রি বেড়েছে একলাফে ২২ গুণ। রুশ উপ-প্রধানমন্ত্রী নিজেই এ তথ্য জানিয়েছেন।
মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) অ্যালেক্সান্দার নোভাক রুশ সংবাদমাধ্যমে বলেছেন, আমাদের বেশিরভাগ জ্বালানি অন্য বাজারে, বন্ধুত্বপূর্ণ দেশগুলোতে যাচ্ছে। উদাহরণস্বরূপ যদি ভারতে তেল সরবরাহের কথা বলি, গত বছর তা ২২ গুণ বেড়েছে।
ইউক্রেনে আগ্রাসনের কারণে গত ডিসেম্বরে সমুদ্রপথে রুশ তেল আমদানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। জি৭ জোটের সঙ্গে রাশিয়ার অপরিশোধিত তেলের ওপর মূল্যসীমা আরোপেও সম্মত হয়েছে তারা।
এর ফলশ্রুতিতে চীন-ভারতের মতো ‘বন্ধুত্বপূর্ণ’ দেশগুলোতে তেল রপ্তানি বাড়িয়েছে রাশিয়া। নোভাক বলেছেন, ২০২২ সালে রাশিয়ার কেন্দ্রীয় বাজেটে জ্বালানি রাজস্বের অবদান ছিল ৪২ শতাংশ এবং পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও দেশটির জ্বালানি শিল্প স্থিতিশীল ছিল।
রাশিয়ার জ্বালানি খাতের দায়িত্বে থাকা রুশ উপ-প্রধানমন্ত্রী আরও বলেছেন, এ শিল্পে দুর্দান্ত কাজের ফলাফল হিসেবে চীনে সরবরাহ বাড়ছে।
ওপেক জোটের প্রধান মিত্র ও বিশ্বের অন্যতম প্রধান তেল উৎপাদক রাশিয়া চলতি মাসে পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার প্রতিক্রিয়ায় প্রতিদিন পাঁচ লাখ ব্যারেল অপরিশোধিত তেল উৎপাদন কমানোর ঘোষণা দিয়েছে।
নোভাক জানিয়েছেন, তেল উৎপাদন কমানোর সিদ্ধান্ত আগামী জুন মাস পর্যন্ত কার্যকর থাকবে।