সাড়ে ছয়শ কোটি টাকা ছাড়ালো লেনদেন

নিউজ ডেস্ক : ব্যাংক কোম্পানি (সংশোধন) আইন ২০২৩ এর খসড়া মন্ত্রিসভায় চূড়ান্ত অনুমোদন সংক্রান্ত গুঞ্জনের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার শেয়ারবাজারে মূল্যসূচকের উত্থান হয়েছে। একই সঙ্গে বেড়েছে লেনদেনের পরিমাণ। ‘শেয়ারবাজারে ব্যাংকের বিনিয়োগ সীমায় বন্ডে বিনিয়োগকে অন্তর্ভুক্ত করা হবে না এবং ক্রয়মূল্যে ব্যাংকের বিনিয়োগ হিসাব করা হবে’ এমন বিধান রেখে খসড়া আইন অনুমোদন হয়েছে বলে গুঞ্জন উঠেছে।

বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেন বেড়ে সাড়ে ছয়শ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে। এর মাধ্যমে ৬ মার্চের পর বাজারটিতে সর্বোচ্চ লেনদেন হলো। একই সঙ্গে দাম কমার তুলনায় দাম বাড়ার তালিকায় দ্বিগুণ প্রতিষ্ঠান নাম লিখিয়েছে।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের পাশাপাশি অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) দাম বাড়ার তালিকায় অধিক সংখ্যক প্রতিষ্ঠান স্থান করে নিয়েছে। একই সঙ্গে বেড়েছে লেনদেনের পরিমাণ। পাশাপাশি বেড়েছে মূল্যসূচক।

ডিএসইতে মূল্যসূচক ও লেনদেন বাড়লেও গত কয়েকদিনের মতো আজও ক্রেতা সংকট দেখা যায়। ক্রেতা সংকটে পড়ে অর্ধেকের বেশি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম ফ্লোর প্রাইসে (সর্বনিম্ন দাম) আটকে থাকে। লেনদেনের পুরো সময়ে ছিল এম চিত্র।

ক্রেতা সংকটে পড়ে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে নতুন করে আরও একটি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম ফ্লোর প্রাইসে এসে ঠেকেছে। এতে ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৯১টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম ফ্লোর প্রাইসে আটকে থাকে।

এমন বিপুল সংখ্যক প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম ফ্লোর প্রাইসে আটকে থাকার দিনে ডিএসইতে ৭৯ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম বাড়ার তালিকায় নাম লেখাতে পেরেছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৪৫টির এবং ১৯৫টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

এতে দিনের লেনদেন শেষে ডিএসই’র প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স ১০ পয়েন্ট বেড়ে ৬ হাজার ২০৬ পয়েন্টে উঠে এসেছে। অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ আগের দিনের তুলনায় এক পয়েন্ট বেড়ে এক হাজার ৩৪৯ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। আর বাছাই করা ভালো ৩০টি কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক আগের দিনের তুলনায় দুই পয়েন্ট বেড়ে দুই হাজার ২০৯ পয়েন্টে অবস্থান করছে।

এদিকে দুইশ কোটি টাকার ঘরে নেমে যাওয়া ডিএসই’র লেনদেন বেড়ে সাড়ে ছয়শ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে। দিনভর ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৬৬৬ কোটি ৮৩ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ৩৮২ কোটি ৬৮ লাখ টাকা। সে হিসাবে লেনদেন বেড়েছে ২৮৪ কোটি ১৫ লাখ টাকা।

এই লেনদেন বাড়াতে সব থেকে বেশি ভূমিকা রেখেছে জেমিনি সি ফুডের শেয়ার। টাকার অঙ্কে কোম্পানিটির ৪৭ কোটি ৭৯ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা ইউনিক হোটেলের ৪১ কোটি ৭৯ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। ৩৪ কোটি ৫১ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ইস্টার্ন হাউজিং।

এছাড়া ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ দশ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- জেনেক্স ইনফোসিস, বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন, সি পার্ল বিচ রিসোর্ট, আমরা নেটওয়ার্ক, এডিএন টেলিকম, রূপালী লাইফ ইনস্যুরেন্স এবং অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ।

অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই বেড়েছে ১০ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেন অংশ নেওয়া ১২৭টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৪৪টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ২৩টির এবং ৬০টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। লেনদেন হয়েছে ৯৬ কোটি ১১ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ৫ কোটি ১৪ লাখ টাকা।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসাংবাদিক শামসুজ্জামানকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ
পরবর্তী নিবন্ধবিশ্ববাজারে জ্বালানির দাম কমলে দেশেও কমবে: তৌফিক-ই-ইলাহী