প্রেস বিজ্ঞপ্তি :যশোরের মোশারফ হোসেনের হাতে ওয়ালটন ফ্রিজ কিনে পাওয়া ১০১টি ফ্রি পণ্য তুলে দেওয়া হচ্ছে
দেশের সর্বাধিক জনপ্রিয় ও বিশ্বস্ত ব্র্যান্ড ওয়ালটনের একটি ফ্রিজ কিনে ১০১টি পণ্য ফ্রি পেয়েছেন আরও একজন সৌভাগ্যবান ক্রেতা। তিনি যশোর সদরের ল্যান্স কর্পোরাল (অব.) মোশারফ হোসেন নান্নু। এর আগে ওয়ালটনের ফ্রিজ কিনে ১০১টি বাড়ি ভর্তি পণ্য ফ্রি পেয়েছিলেন আরও দুই ক্রেতা। তারা হলেন কক্সবাজারের রামু উপজেলার জসিম উদ্দিন এবং বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ পৌরসভার উত্তর সরালিয়া এলাকার নজরুল ইসলাম।
উল্লেখ্য, ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন-১৭ এর আওতায় এ সুবিধা দিচ্ছে ওয়ালটন। অনলাইন অটোমেশনের মাধ্যমে গ্রাহকদের আরও দ্রুত ও সর্বোত্তম বিক্রয়োত্তর সেবা দিতে সারা দেশে চলছে ওয়ালটনের ডিজিটাল ক্যাম্পেইন। এ কার্যক্রমে ক্রেতাদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে উৎসাহিত করতে দেওয়া হচ্ছে নানান সুবিধা। এরই পরিপ্রেক্ষিতে সিজন-১৭ তে ওয়ালটন ফ্রিজ, টিভি, এয়ার কন্ডিশনার এবং ওয়াশিং মেশিন ক্রয়ে রয়েছে ১০১টি বাড়িভর্তি পণ্য ফ্রি এবং ১ লাখ টাকা পর্যন্ত ক্যাশ ভাউচার পাওয়ার সুযোগসহ নিশ্চিত উপহার।
গত ১ এপ্রিল, ২০২৩ রূপদিয়া বাজারের জনতা মার্কেটে ওয়ালটনের ডিস্ট্রিবিউটর শোরুম ‘মেসার্স রূপদিয়া ইলেকট্রনিক্স’-এ আনুষ্ঠানিকভাবে মোশারফ হোসেনের হাতে ১০১টি পণ্য তুলে দেন ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি.’র ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর এমদাদুল হক সরকার, সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর জনপ্রিয় চিত্রনায়ক আমিন খান এবং বিজনেস এক্সপানশন সেকশনের ইনচার্জ মোহাম্মদ ফিরোজ আলম।
এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নরেন্দ্রপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান রাজু আহমেদ, সাবেক চেয়ারম্যান মোদাচ্ছের আলী, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল কাশেম বিশ্বাস, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ফারুক হোসেন এবং ওয়ালটনের যশোর জোনের এরিয়া ম্যানেজার সরওয়ার জাহানসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
ক্রেতা মোশারফ হোসেন বসুন্দিয়া ইউনিয়নের ঘুনী গ্রামের বাসিন্দা। ৫ সদস্যের পরিবারের প্রধান মোশারফ বাংলাদেশ সেনাবাহিনী থেকে অবসর গ্রহণ করেন ২০০৩ সালে। এরপর শুরু করেন তৈরি পোশাকের ব্যবসা। রূপদিয়া বাজারে বেবি মার্কেটে রয়েছে তার নিজের শোরুম ‘ওড়না ঘর’। বাসায় ব্যবহারের জন্য গত ১৮ মার্চ তিনি ওয়ালটন শোরুম থেকে ৩৪৮ লিটারের একটি ফ্রিজ কেনেন। কেনার পর তার ফোন নম্বরসহ পণ্যটির ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন করা হয়। এর কিছুক্ষণ পরই ১০১টি পণ্য ফ্রি পাওয়ার মেসেজ যায় তার মোবাইলে। শোরুম থেকেও ফোন করে বিষয়টি তাকে নিশ্চিত করা হয়।
অপ্রত্যাশিতভাবে এতোগুলো পণ্য ফ্রি পাওয়ায় ক্রেতা মোশারফের পরিবারে বইছে খুশির বন্যা। ট্রাকভর্তি করে পণ্যগুলো বাড়িতে নিয়ে গেছেন তিনি। ফ্রি পাওয়া ১০১টি পণ্যের মধ্যে রয়েছে ওয়ালটন ফ্রিজ, এসি, স্মার্ট টিভি, ওয়াশিং মেশিন, এয়ার কুলার, মাইক্রোওয়েভ ও ইলেকট্রিক ওভেন, সিলিং, প্যাডেস্টাল, টর্নেডো ও রিচার্জেবল ফ্যান, রাইস কুকার। এসব পণ্যের কিছু আত্মীয়-স্বজনদের উপহার দেবেন বলে জানান মোশারফ।
তিনি বলেন, আমাদের বাসায় ব্যবহৃত সবধরনের ইলেকট্রনিক্স পণ্যই ওয়ালটনের। একটি ফ্রিজ কিনে এতোগুলো পণ্য একসঙ্গে ফ্রি পাওয়ায় আমার পরিবারের সবাই খুশি। এলাকার লোকজনও খুব আনন্দিত। তারা এখন সবাই ওয়ালটনের পণ্য কিনতে চায়। ওয়ালটনের প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ।
ইউপি চেয়ারম্যান রাজু আহমেদ জানান, তার বাসায় ওয়ালটনের ফ্রিজ ও টিভি ব্যবহার করছেন। এছাড়া, ইউনিয়ন পরিষদের সবগুলো এসি ওয়ালটন থেকে কেনা। সাশ্রয়ী দামে কেনা এসব পণ্য ভালো সার্ভিস দিচ্ছে। তিনি সবাইকে ওয়ালটন পণ্য কিনতে আহ্বান জানিয়ে বলেন, দেশের পণ্য কিনলে দেশের টাকা দেশেই থাকে। এতে আমাদের দেশের মানুষের জীবনমানের উন্নয়ন হয়। সমৃদ্ধ হয় দেশের অর্থনীতি। দেশকে উন্নত করতে হলে দেশীয় পণ্য ব্যবহার করতে হবে। বর্জন করতে হবে বিদেশি পণ্য।