নিউজ ডেস্ক: আগামী (২০২৩-২৪) অর্থবছরের উন্নয়ন বাজেট বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) খসড়া চূড়ান্ত করেছে বাংলাদেশ পরিকল্পনা কমিশন। এবারের এডিপির আকার ধরা হয়েছে দুই লাখ ৬৩ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে ৯৪ হাজার কোটি টাকা দেবে বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগীরা। আর বাকি এক লাখ ৭৯ হাজার কোটি টাকা সরকারের রাজস্বখাত থেকে ব্যয় করা হবে। এবার এডিপির আকার বেড়েছে ১৭ হাজার কোটি টাকা। গত বছর এডিপির আকার ছিল দুই লাখ ৪৬ হাজার ৬৬ কোটি টাকা।
রোববার (৩০ এপ্রিল) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে পরিকল্পনা কমিশনের বর্ধিত সভায় এডিপির খসড়া চূড়ান্ত করা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম। সভায় মন্ত্রিপরিষদ সচিব, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব, অর্থসচিব, পরিকল্পনা সচিব, ইআরডি সচিব, বিবিএস সচিব, আইএমডি সচিব ও পরিকল্পনা কমিশনের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
পরিকল্পনা কমিশন সূত্রে জানা যায়, সুদ ও ভর্তুকিতে ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় এডিপির বরাদ্দ বেশি বাড়ানো সম্ভব হচ্ছে না। চলতি বাজেটের তুলনায় এ খাতে বরাদ্দ মাত্র ৬ দশমিক ৮০ শতাংশ বাড়িয়ে আগামী বাজেটে দুই লাখ ৬৩ হাজার কোটি টাকা রাখা হচ্ছে।
জানা গেছে, আগামী ১১ মে এনইসি সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এডিপি অনুমোদন দেবেন। এবারও বরাবরের মতোই সবচেয়ে বেশি বরাদ্দ পাচ্ছে স্থানীয় সরকার বিভাগ। এরপরে রয়েছে সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগ। এছাড়া বরাদ্দ পাওয়ার দিক দিয়ে এগিয়ে রয়েছে বিদ্যুৎ বিভাগ, রেলপথ মন্ত্রণালয়, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ। এবারও মেগাপ্রকল্প বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে, মেট্রোরেল ও পদ্মা সেতুতে বড় বরাদ্দ থাকছে।
অন্যদিকে, আগামী অর্থবছরে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে ১৪ হাজার ৯৬৬ কোটি টাকা চায় রেলপথ মন্ত্রণালয়। এর মধ্যে সরকারের তহবিল থেকে চায় চার হাজার ৪২৩ কোটি টাকা। আর উন্নয়ন সহযোগীদের কাছ থেকে চায় ১০ হাজার ৪৪২ কোটি টাকা। চলমান ৩৫টি প্রকল্পের বিপরীতে অর্থ চেয়েছে তারা।
আগামী অর্থবছরে উন্নয়ন বাজেটে সেতু বিভাগ আট হাজার ৮৬৪ কোটি টাকা চাহিদা দিয়েছে। এরমধ্যে সরকারি তহবিল থেকে ছয় হাজার ১৯ কোটি টাকা এবং উন্নয়ন সহযোগীদের থেকে চেয়েছে দুই হাজার ৫৬৩ টাকা। আর নতুন প্রকল্পের জন্য চেয়েছে ২৮১ কোটি টাকা।
আগামী অর্থবছরে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় এডিপিতে পাঁচ হাজার ৮২৩ কোটি টাকা বরাদ্দ চেয়েছে। এর মধ্যে সরকারের তহবিল থেকে দুই হাজার ৬৭৪ কোটি টাকা এবং প্রকল্প সাহায্য হিসেবে উন্নয়ন সহযোগীদের থেকে চেয়েছে এক হাজার ৬৭৫ কোটি টাকা।
আগামী ২০২৩-২৪ অর্থবছরে সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগ ৩৩ হাজার ২৪০ কোটি টাকা বরাদ্দ চেয়েছে। এর মধ্যে সরকারের তহবিল থেকে ২২ হাজার ৪৯৩ কোটি টাকা এবং প্রকল্প সাহায্য হিসেবে উন্নয়ন সহযোগীদের থেকে চেয়েছে ৯ হাজার ৭৪৭ কোটি টাকা। এবং অন অনুমোদিত সম্ভাব্য প্রকল্পের জন্য সরকারের তহবিল থেকে এক হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ চেয়েছে তারা।