জরুরি পণ্যের এলসি এখন গুরুত্ব পাচ্ছে: সিটি ব্যাংকের এমডি

নিজস্ব প্রতিবেদক : অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশের (এবিবি) ভাইস চেয়ারম্যান ও সিটি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাসরুর আরেফিন বলেছেন, এখনো ছোট ছোট এলসি খুলতে পরছি না। আমাদের কাছে ১০টি এলসি এলে কিছু খুলতে পারছি কিছু পারছি না। আমাদের কাছে জরুরি পণ্যের এলসি খোলায় এখন গুরুত্ব পাচ্ছে। তবে আমাদের ভালো দিক হলো এক্সপোর্ট বাড়ছে, রেমিট্যান্স বাড়ছে। তবে এখন এলসি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হয়ে আসছে।

সোমবার (২২ মে) রাজধানীর ব্র্যাক ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে এবিবি আয়োজিত ব্যাংকিং সেক্টর আউটলুক-২০২৩ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি। এসময় এবিবির নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন এবিবির চেয়ারম্যান এবং ব্র্যাক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সেলিম আর এফ হোসেন, ভাইস চেয়ারম্যান ও ডাচ্ বাংলা ব্যাংকের এমডি আবুল কাশেম মো. শিরিন ও ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের এমডি সৈয়দ ওয়াসেক মো. আলী।

সিটি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাসরুর আরেফিন বলেন, এলসি সমস্যা আমাদের কাটেনি। আমরা গুরুত্ববহ পণ্য আমদানির জন্য এলসি ওপেন করছি। আমাদের আগে খেলনা আমদানির প্রয়োজন নেই, কারণ আমাদের সার দরকার, তেল দরকার। আমাদের ব্যাংকিং সেক্টরের প্রতি গ্রাহকের আস্থা বেড়েছে। এখন ডিপোজিট বেড়েছে, রেমিট্যান্স বাড়ছে। রেমিট্যান্সে ডলারের রেট ৮৭ টাকা থেকে ১০৮ টাকা হয়েছে। আমাদের তারল্য সাময়িক সংকট দেখা দিয়েছিল তবে এখন অতিরিক্ত তরল্য রয়েছে। পুরো ব্যাংকখাতে এখন অতিরিক্ত এক লাখ ৩৫ হাজার কোটি টাকা তারল্য রয়েছে।

রেমিট্যান্স নিয়ে এবিবির চেয়ারম্যান সেলিম আর এফ হোসেন বলেন, রেমিট্যান্সের ডলারের শুধু দাম নির্ধারণ করলেই হবে না রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের কী ধরনের সুবিধা দেওয়া হচ্ছে তাও দেখতে। প্রবাসীরা এয়ারপোর্টে ভালো সুবিধা পান না, তাদের কোনো ধরনের কাজ সম্পর্কে শেখানো হয় না। অন্যান্য দেশে বিভিন্ন ধরনের ট্রেনিং দেওয়া হয়, দক্ষ করা হয়। যা আমাদের দেওয়া হয় না। এতে প্রবাসীরা অনেক পিছিয়ে পড়ছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধব্যাংকখাতে অতিরিক্ত তারল্য ১ লাখ ৩৫ হাজার কোটি টাকা’
পরবর্তী নিবন্ধশেয়ারবাজারে লেনদেন কমেছে