‘কিছু প্রতিষ্ঠানের অনিয়মের কারণে ই-কমার্স খাতে আস্থার সংকট’

নিজস্ব প্রতিবেদক : কিছু প্রতিষ্ঠানের অনিয়মের কারণে ই-কমার্স খাতে আস্থার সংকট রয়েছে ৷ তা সত্ত্বেও পোক্ত অবকাঠামো ও জনসংখ্যায় তারুণ্যের প্রাধান্যে আগামী ২০৩০ সাল নাগাদ এই খাত প্রত্যাশিত সাফল্য অর্জন করবে। রোববার সকালে রাজধানীর একটি হোটেলে বাংলাদেশ ই-কমার্স সামিটের দ্বিতীয় অধিবেশনে একটি প্যানেল আলোচনায় এমন অভিমত জানান সংশ্লিষ্টরা।
দ্য ই-কমার্স ওয়ে প্লেথোরা অব অপরচুনিটিজ ওয়েটিং টি বি ডিসকাভারড শীর্ষক প্যানেল আলোচনায় বক্তারা বলেন, এক দশকে বাংলাদেশের ই-কমার্স প্রত্যাশা পূরণের জায়গায় পৌঁছাতে পারেনি। করোনা মহামারি, বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকট ও সাম্প্রতিক সময়ের ই-কমার্স স্ক্যাম ইত্যাদি কারণে এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
ডেলিগ্রামের সাবেক সিইও ওয়াইজ রাহিমের সঞ্চালনায় এতে বক্তব্য রাখেন চালডালের সিইও ও কো ফাউন্ডার ওয়াসিম আলীম, দারাজের সিওও তাসফিন আলম, সেবার সিইও ইমতিয়াজ হালিম ও এটুআই এর হেড অব ই-কমার্স রেজওয়ানুল হক জামি।
চালডালের ওয়াসিম আলীম বলেন, গত এক দশকে ই-কমার্স ইনফ্রাক্টচার তৈরি হলেও, প্রত্যাশিত গ্রোথ নেই। দারাজের সিওও বলেন, ২০৩০ সাল নয় তার আগেই ই-কমার্স খাত তার প্রত্যাশিত সাফল্য পাবে।
সেবার সিইও ইমতিয়াজ হালিম বলেন, সাধারণ বাজারে যে পণ্যটা পাওয়া যায় না, সেটা খুঁজতে আমি দারাজে যাই। চালডালে যাচ্ছি ভালো মানের ফল কিনতে। ই-কমার্স যদি সাধারণ বাজারের সঙ্গে পার্থক্য তৈরি করতে না পারে তাহলে মানুষ ই-কমার্সমুখি হবে না। কনভিনিয়েন্স, বেটার প্রাইস ও এক্সসেস টু ব্র্যান্ড এই তিনটা জিনিস ই-কমার্সকে নিশ্চিত করতে হবে তাহলে ই-কমার্স প্রত্যাশিত সাফল্য পাবে।
তিনি বলেন, ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশের ই-কমার্সে বড় ধরনের গ্রোথ হবে, এটা নিশ্চিত। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডসহ অন্যান্য সংস্থা নীতিগত সহায়তা প্রদান করে যাচ্ছে।
এটুআইএর রেজওয়ানুল হক জামি বলেন, ই-কমার্সে আস্থার সংকট রয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে ই-কমার্স স্ক্যাম হয়েছে।তারপরেও ই-কমার্স থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়নি মানুষ। গ্রাহকের মাইন্ডসেট ও চাহিদা যারা দ্রুত পূরণ করতে পারবে তারাই এগিয়ে যাবে।
তিনি বলেন, ২০৩০ সাল নাগাদ ই-কমার্সের বাজার ১০ থেকে ১০০ গুণ বাড়বে বলে আশা করি। আমরা স্মার্ট বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি। যেখানে আমাদের অর্থের বিনিময় হবে স্মার্ট। এ খাতে সরকার নীতিগত সাহায্য সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছে।
আধুনিক যুগের জন্য ই-কমার্সকে নতুনভাবে গড়ে তোলার মূলমন্ত্র নিয়ে সামিটে ৪টি কিনোট সেশন, ৩টি প্যানেল আলোচনা, ২টি ইনসাইট সেশন, ২টি কেস স্টাডি এবং ১টি পলিসি ডায়ালগ দিনব্যাপী সামিটে অনুষ্ঠিত হবে।
বিশেষজ্ঞ আলোচকরা উন্নয়নশীল প্রযুক্তি, জালিয়াতি নিরাপত্তা, ভোক্তা পুনরাবৃত্তি, লজিস্টিক ম্যানেজমেন্ট, পেমেন্টসহ ই-কমার্স সম্পৃক্ত বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা করবেন এই আয়োজনে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধপুলিশকে জনগণের বন্ধু হিসেবে কাজ করতে হবে: রাষ্ট্রপতি
পরবর্তী নিবন্ধআমনের উৎপাদন বাড়াতে ৩৩ কোটি টাকার প্রণোদনা