নিউজ ডেস্ক: নানান কারণ দেখিয়ে বেনাপোলসহ চার স্থলবন্দর উন্নয়নে সময় ও প্রকল্প ব্যয় বেড়েছে। এজন্য বাংলাদেশ রিজিওনাল কানেক্টিভিটি প্রজেক্ট-১: শেওলা, রামগড় ও ভোলাগঞ্জ স্থলবন্দর উন্নয়ন এবং বেনাপোল স্থলবন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থার আধুনিকায়ন (২য় সংশোধিত) প্রকল্প সংশোধন করেছে পরিকল্পনা কমিশন।
প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে স্থলপথে আন্তঃবাণিজ্য সুবিধা বৃদ্ধি করার জন্য প্রকল্পটি বাস্তবায়নকারী সংস্থা বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ।
৮ জুন জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) এসব সংশোধনীর অনুমোদন দিয়েছে।
পরিকল্পনা কমিশন জানায়, মূল অনুমোদিত প্রকল্পের ব্যয় ছিল ৬৯৩ কোটি টাকা। প্রথম সংশোধিত প্রস্তাবে ব্যয় বেড়ে দাঁড়ায় ৭৩১ কোটি ৮৬ লাখ টাকা। নতুন করে দ্বিতীয় সংশোধিত প্রস্তাবে ব্যয় বেড়ে দাঁড়ালো ৯৬৬ কোটি ১৩ লাখ টাকা। মূল অনুমোদিত প্রকল্পটি জুলাই ২০১৭ থেকে জুন ২০২১ মেয়াদে বাস্তবায়নের সময়সীমা নির্ধারিত ছিল। এর পরে জুন ২০২২ ও জুন ২০২৩ নাগাদ সময় বৃদ্ধি করা হয়। নতুন করে জুন ২০২৫ নাগাদ মেয়াদ বৃদ্ধি করা হলো।
প্রকল্প এলাকা হলো সিলেট জেলার বিয়ানীবাজার ও কোম্পানীগঞ্জ, যশোর জেলার সারশা (বেনাপোল) এবং খাগড়াছড়ি জেলার রামগড় উপজেলা।
প্রকল্পের উদ্দেশ্য
শেওলা, রামগড় ও ভোলাগঞ্জ স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানিযোগ্য পণ্যের জন্য ভৌত অবকাঠামোগত উন্নয়ন এবং যানবাহনের পার্কিং সুবিধা সৃষ্টি করা। বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে মালামাল পরিবহন ও যাত্রী চলাচলের সুবিধার্থে ওয়ান স্টপ পোর্ট বিল্ডিং এবং আন্তর্জাতিক প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল ভবন নির্মাণ।
বেনাপোল স্থলবন্দরে নিরাপত্তা ব্যবস্থার উন্নয়নে সিসিটিভি ও স্বয়ংক্রিয় গেইট পাস সিস্টেম স্থাপন করা। ৫৫ দশমিক ২০ একর ভূমি অধিগ্রহণ, ১ হাজার ১৬৭ জনমাস পরামর্শক সেবা, ভবন ও অন্যান্য অবকাঠামো নির্মাণ করা হবে।
প্রকল্প সংশোধনের কারণ
ভোমরা স্থলবন্দরের পরিবর্তে ভোলাগঞ্জ স্থলবন্দর অন্তর্ভুক্তি, ভূমি অধিগ্রহণের পরিমাণ ও ব্যয় বৃদ্ধি, স্থলবন্দরগুলোর মধ্যে প্রকল্প ঋণের পরিমাণ আন্তঃসমন্বয়। অন্যান্য জিওবি খাতে ব্যয় বৃদ্ধি এবং প্রকল্পের মেয়াদ বৃদ্ধি।