ঈদযাত্রায় প্রস্তুত পাটুরিয়া-আরিচা নৌরুট

নিউজ ডেস্ক : দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সঙ্গে রাজধানী ঢাকার যোগাযোগের অন্যতম নৌরুট পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া।

পদ্মা সেতু চালু হওয়ার আগে এ নৌরুটে দুই ঘাট মিলে প্রতিদিন গড়ে সাড়ে সাত হাজার যানবাহন পারাপার করা হতো। ঈদ মৌসুমে এ যানবাহনের পারাপারের হার আরো বেড়ে যেতো।পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর এ নৌরুটে যানবাহন পারাপারের হার অর্ধেকে নেমে এসেছে।

তবে ঈদ মৌসুমে এ নৌরুটে যানবাহন পারাপারের হার বেড়ে যায়। এছাড়া পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া লঞ্চ রুটেও থাকে যাত্রীদের বাড়তি ভিড়।

এদিকে আরিচা-কাজিরহাট নৌরুটে পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পরও আগের মতোই গড়ে ৫শ গাড়ি পারাপার হয়। ঈদ মৌসুমে ছোট গাড়ির হার বেড়ে যায় এ নৌরুটে, লঞ্চগুলোতেও থাকে বাড়তি চাপ। এ দুটি নৌরুটে নির্বিঘ্নে ঈদযাত্রা নিশ্চিত করতে সকল ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট প্রশাসন।

আরিচা ঘাটের ব্যবস্থাপক (বিআইডব্লিউটিসি) আবু আব্দুল্লাহ বলেন, আরিচা-কাজিরহাট নৌরুটে স্বাভাবিক সময়ে গড়ে ৫শ’র মতো যানবাহন পারাপার করা হয়। তবে ঈদের সময় দেড় থেকে ২শ ছোট গাড়ির চাপ বাড়ে। আরিচা-কাজিরহাট নৌরুটে ৫টি ফেরি চলাচল করছে।

গোলড়া হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুকেন্দ বসু বলেন, ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে ঢাকাগামী কোরবানির পশু পরিবহনের গাড়িতে কেউ যাতে চাঁদাবাজি করতে না পারে সেজন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। মহাসড়কের গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন পয়েন্টে হাইওয়ে পুলিশ যানজট নিরসন ও ঈদযাত্রা নিশ্চিত করতে কাজ করছে।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীন নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) আরিচা নদী বন্দরের উপপরিচালক এসএম সাজ্জাদুর রহমান বলেন, আসন্ন ঈদযাত্রা নিশ্চিত করতে অস্থায়ী টয়লেট নির্মাণ, মাতৃদুগ্ধ কেন্দ্র স্থাপন, সুপেয় পানি সরবরাহ করাসহ নানা প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে ১৮টি লঞ্চ ও আরিচা-কাজিরহাট নৌরুটে ১৫টি লঞ্চ যাত্রী পারাপারে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এছাড়া আরিচা-কাজিরহাট নৌরুটে ৪৪টি স্পিড বোড যাত্রী পারাপার করবে।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীন নৌপরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) আরিচা কার্যালয়ের ডিজিএম শাহ মো.খালেদ নেওয়াজ বলেন, পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে আগের মতো যানবাহনের চাপ নেই। ঈদের সময় যানবাহন পারাপারের হার বাড়লেও পর্যাপ্ত ফেরি থাকায় কোন ভোগান্তি হবে না। পাটুরিয়া দৌলতদিয়া নৌরুটে ৯টি বড় ফেরি, ৬টি ইউটিলিটি ফেরি ও ৩টি ছোট ফেরি রয়েছে।

পুলিশ সুপার কার্যালয়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুজন সরকার বলেন, ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের বারবাড়িয়া থেকে পাটুরিয়া ও আরিচা ঘাট পর্যন্ত মহাসড়কের বিভিন্নভাবে পয়েন্টে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় জেলা পুলিশের প্রায় ৬শ পুলিশ সদস্য কাজ করবেন।

জেলা প্রশাসক আব্দুল লতিফ বলেন, ঈদে ঘরমুখো মানুষের যাত্রা নিরাপদ করতে সংশ্লিষ্ট সকল কার্যালয়কে নিয়ে প্রস্তুতি সভা সম্পন্ন হয়েছে। যাত্রীদের ভোগান্তি লাঘবে সকল ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে স্থানান্তর ডিএসইর ৫ কোম্পানি
পরবর্তী নিবন্ধইসলামী ব্যাংকের বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত