বিনিয়োগকারী সুরক্ষা তহবিলের অনিয়ম খুঁজতে তদন্ত কমিটি

নিউজ ডেস্ক : ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) বিনিয়োগকারীদের সুরক্ষা তহবিলের (ইনভেস্টর প্রটেকশন ফান্ড) অনিয়ম খুঁজতে ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে পুঁজিবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। তহবিলে কোনো অনিয়ম পেলে ব্যবস্থা নেবে বিএসইসি।

সোমবার (২৬ জুন) তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে বিএসইসি সূত্রে জানা গেছে। কমিটিকে ৬০ দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে নির্দেশ দিয়েছে কমিশন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম রাইজিংবিডিকে বলেছেন, বিনিয়োগকারীদের সুরক্ষায় কমিশন স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে সব সময় কাজ করে যাচ্ছে। ভবিষ্যতেও বিনিয়োগকারীদের সুরক্ষায় যা করার প্রয়োজন, কমিশন তা করবে। যদি বিনিয়োগকারী সুরক্ষা তহবিলে আর্থিক কোনো অনিয়ম পাওয়া যায়, তাহলে জড়িত ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে কমিশন।

বিএসইসি সূত্র জানায়, ডিএসই‘র বিনিয়োগকারী সুরক্ষা তহবিল গঠন হওয়ার পর থেকে জমা হওয়া অর্থের সঠিক ব্যবহার করা হয়েছে কি না; বিশেষ করে, তহবিলের আয়-ব্যয় হিসাব যাচাই করবে তদন্ত কমিটি। একই সঙ্গে বিনিয়োগকারীদের সুরক্ষায় কী পরিমাণ অর্থ কাজে লাগানো হয়েছে, তা নিয়ম অনুযায়ী করা হয়েছে কি না, তা যাচাই করা হবে। তদন্ত প্রতিবেদনে যদি বিনিয়োগকারী সুরক্ষা তহবিলের অর্থ ব্যবহারে কোনো অনিয়ম ধরা পড়ে, তাহলে কঠোর ব্যবস্থা নেবে কমিশন।

শেয়ারবাজারে বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগ সুরক্ষায় দিতে রয়েছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ইনভেস্টর প্রটেকশন ফান্ড) রেগুলেশনস, ২০১৪। স্টক এক্সচেঞ্জের ডিমিউচুয়ালাইজেশন সম্পন্ন হওয়ার প্রেক্ষাপটে এটি যুগোপযোগী করা হয়েছে। মার্চেন্ট ব্যাংক, ব্রোকার এবং ডিলারদের কাছ থেকে পাওয়া বার্ষিক তালিকাভুক্তির ফি‘র একটি অংশ বিনিয়োগকারী সুরক্ষা তহবিলে জমা রাখা হয়। এছাড়া, শেয়ারবাজারের লেনদেন, বিভিন্ন মাধ্যম থেকে পাওয়া ফি’র একটি অংশও এ তহবিলে জমা করা হয়ে থাকে। কোনো ব্রোকারেজ হাউজ দেউলিয়া হয়ে গেলে বা বিনিয়োগকারীদের শেয়ার কিংবা তাদের জমা রাখা অর্থ ফেরত দিতে ব্যর্থ হলে এ তহবিল থেকে বিনিয়োগকারীদের অর্থ দেওয়া হয়ে থাকে। এই অর্থ বিতরণে কোনো অনিয়ম রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখবে তদন্ত কমিটি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবঙ্গবন্ধু সেতু‌ মহাসড়কে আট কিলোমিটার যানজট
পরবর্তী নিবন্ধবন্ড ছেড়ে ৬০০ কোটি টাকা তুলবে ২ ব্যাংক