জুন মাসে মূল্যস্ফীতি ৯.৭৪ শতাংশ

নিউজ ডেস্ক : গত মে মাসের তুলনায় জুন মাসে পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমেছে। জুন মাসে মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ৯.৭৪ শতাংশ। যা মে মাসে ছিল ৯.৯৪ শতাংশ।

সোমবার (৩ জুলাই) বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) দেওয়া মে মাসের ভোক্তা মূল্য সূচকের (সিপিআই) হালনাগাদে এ তথ্য জানা গেছে।

এর আগে, জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির বিরূপ প্রভাবের কারণে চলতি অর্থবছরের মে মাসে সাধারণ মূল্যস্ফীতি বাংলাদেশে গড়ে ৯.৯৪ শতাংশ হয়েছিল। যা গত ১১ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ ছিল। ২০১১ সালের মে মাসে ছিল ১০.২ শতাংশ মূল্যস্ফীতি হয়েছিল। তবে জুন মাসে মূল্যস্ফীতির হার কিছুটা কমেছে। সাধারণ মূল্যস্ফীতির হার কমলেও বেড়েছে খাদ্যপণ্যের দাম। জুন মাসে খাদ্যপণ্যে মূল্যস্ফীতির হার বেড়ে ৯.৭৩ শতাংশ হয়েছে। যা গত মে মাসে ছিল ৯.২৪ শতাংশ।

বিবিএসের তথ্যে দেখা গেছে, মে মাসে খাদ্য খাতে মূল্যস্ফীতির হার ৯.২৪ শতাংশ ছিল, এপ্রিল মাসে যা ছিল ৮.৮৪ শতাংশ। ফলে এপ্রিল থেকে বাড়তে মে মাসে খাদ্যপণ্য বৃদ্ধির রেকর্ড গড়েছে। চাল, ডাল, তেল, লবণ, মাছ, মাংস, সবজি, মসলা ও তামাকজাতীয় পণ্যের দাম বাড়ায় খাদ্যে মূল্যস্ফীতির হার বেড়েছে বলে জানিয়েছে বিবিএস। এছাড়া বাড়িভাড়া, আসবাবপত্র, গৃহস্থালি, চিকিৎসাসেবা, পরিবহন ও শিক্ষা উপকরণের দাম কিছুটা কমেছে। মে মাসে এখাতে মূল্যস্ফীতিরে হার ছিল ৯.৯৬ শতাংশ। যা জুন মাসে কিছুটা কমে ৯.৬০ শতাংশ হয়েছে।

বিবিএস আরও জানায়, যদিও ফেব্রুয়ারিতে সার্বিক মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়ায় ৮.৭৮ শতাংশ। মার্চ মাসে আবারও মূল্যস্ফীতির হার বেড়ে হয় ৯.৩৩ শতাংশ। এপ্রিলে মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমলেও তা আশাব্যঞ্জক ছিল না। তখন সার্বিক বা সাধারণ মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৯.২৪ শতাংশ। সর্বশেষ বাড়তে বাড়তে ক্রেতা নাগালের বাইরে গেছে সব নিত্যপণ্য।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দার মধ্যেও সোনালী ব্যাংকসব সূচকে এগিয়ে যাচ্ছে: এমডি আফজাল করিম
পরবর্তী নিবন্ধবিদায়ী অর্থবছরে রেকর্ড রপ্তানি আয় ৫৫.৫৫ বিলিয়ন ডলার