স্পোর্সে ডেস্ক : নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাচ্ছে বাংলাদেশ। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে সূচনাটা মোটামুটি ভালো করেছিলো টাইগাররা। অধিনায়ক তামিম ইকবাল ধুঁকতে থাকলেও লিটনের সঙ্গে গড়েছিলেন ৩০ রানের জুটি। কিন্তু তামিম ইকবার ফজল হক ফারুকির বলে আউট হওয়ার পরই নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে শুরু করে টাইগাররা।
যার দরুন, ৭২ রানের মাথায় হারিয়েছে ৩ উইকেট। এক এক করে ফিরে গেছেন তামিম, লিটন এবং নাজমুল হোসেন শান্ত। আফগান স্পিনার মোহাম্মদ নবির বলে শেষ ব্যাটার হিসেবে আউট হয়েছে শান্ত। আউট হওয়ার আগে তিনি করেছেন ১২ রান।
তবে, ১৫.১ ওভার খেলা হওয়ার পরই নামে বৃষ্টি। উইকেট ঢেকে দিতে হয় প্লাস্টিকের কাভার (ত্রিপল) দিয়ে। যার ফলে খেলাও বন্ধ হয়ে যায়।
মোহাম্মদ নবি বল করতে এসেই উইকেট তুলে নিলেন। লেগ স্ট্যাম্পের ওপর বলটি ছিল। এক হাঁটু গেঁড়ে সুইপ করতে চেয়েছিলেন বাংলাদেশ দলের এই ব্যাটার। কিন্তু ব্যাটের উপরের কানায় লেগে বল উঠে গেলে শর্ট ফাইন লেগে সহজেই ক্যাচটি তালুবন্দী করে নেন মোহাম্মদ সেলিম।
এ রিপোর্ট লেখার সময় বাংলাদেশের রান ১৫.১ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ৮৪। ৪ রান নিয়ে ব্যাট করছেন সাকিব আল হাসান। তার সঙ্গী তাওহিদ হৃদয়ও ব্যাট করছেন ৮ রান নিয়ে।
যে দুই বোলারকে সবচেয়ে বেশি ভয় পাচ্ছিলো বাংলাদেশ দলের ব্যাটাররা, তাদের মধ্যে একজন রহস্যময় স্পিনার মুজিবুর রহমান। সেই রহস্যময় স্পিনারের বলেই ক্যাচ তুলে নিলেন বাংলাদেশ দলের ওপেনার লিটন দাস। ডিপ ব্যাকওয়ার্ড স্কয়ারে দাঁড়িয়ে সেই ক্যাচ তালুবন্দী করে নিলেন রহমত শাহ।
তামিম ইকবাল ধুঁকতে থাকলেও অন্যপাশে ধীরস্থির ব্যাটিং করছিলেন লিটন দাস। দেখে মনে হচ্ছিলো, বাংলাদেশ দলের ইনিংসকে অনেকদূর এগিয়ে নিতে পারবেন তিনি। কিন্তু মুজিবের ঘূর্ণি বলের কাছে পরাস্ত হলেন লিটনও। ২৬ রান করে আউট হন তিনি।
এর আগে, তামিম ইকবালের খেলা নিয়েই ধোঁয়াশা ছিল। পিঠের ইনজুরির কারণে তার খেলার সম্ভাবনা ছিল কম। তবুও, তামিম জোর দিয়ে বলেছেন- তিনি প্রথম ম্যাচ খেলে দেখতে চান, তার ফিটনেস কেমন। যদিও তার এই কথায় যারপরনাই রেগে গিয়েছিলেন কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে এবং বিসিবি প্রধান নাজমুল হাসান পাপন।
তবুও অধিনায়কের ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। অন্যদের উপেক্ষা করার সুযোগ নেই। যে কারণে আফগানদের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে একাদশে থাকলেন তামিম ইকবাল। তবে, তার যে সত্যিই ফিটনেসে সমস্যা রয়েছে তা বোঝা গেছে তার ব্যাটিংয়ে নামার পরই।
আফগান বোলারদের সামনে বেশ ভালোভাবেই ধুঁকতে দেখা গেছে তাকে। আউট সাইড, ইনসাইড, লো বল কিংবা বাউন্স- কোনোটিতেই সাচ্ছন্দে খেলতে পারেননি তামিম।
২১ বল মোকাবেলা করেছেন। বাউন্ডারি মেরেছেন দুটি। রান করেছেন ১৩টি। কিন্তু উইকেটে বেশ অস্বস্তিতেই দেখা গেছে বাংলাদেশ দলের ওপেনার এবং অধিনায়ককে। শেষ পর্যন্ত সেই ফজল হক ফারুকিকেই উইকেট দিয়ে এলেন তিনি।
গত বছরও বাংলাদেশ সফরে আসা আফগানিস্তানের বিপক্ষে দারুণভাবে ব্যাট হাতে ব্যর্থ ছিলেন তামিম। তিন ম্যাচের সিরিজের তিনটিতেই আফগান পেসার ফজল হক ফারুকির বলে আউট হয়েছিলেন তিনি। সেবার তিন ম্যাচে (৮, ১১ ও ১২) মোট ৩১ রান করেন তিনি।
এবার করলেন ১৩ রান। ইনিংসের সপ্তম ওভারে ফজল হক ফারুকির বলটিকে খোঁচা দিতে গিয়ে উইকেটের পেছনে রহমানুল্লাহ গুরবাজের হাতে তুলে দেন তামিম। বাংলাদেশ দলের রান ছিল তখন ৩০।
সব মিলিয়ে চারবারের মুখোমুখিতে তামিম ০, ফজলহক ফারুকি ৪- এ হলো আপাতত পরিসংখ্যান।