নিজস্ব প্রতিবেদক : অস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়াতে আগ্রহী। শুক্রবার (২১ জুলাই) বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি ফারুক হাসানের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল অস্ট্রেলিয়ার ক্যানবেরায় পররাষ্ট্র ও বাণিজ্য বিভাগের (ডিএফএটি) উত্তর ও দক্ষিণ এশিয়া বিভাগের ফার্স্ট অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি, গ্যারি কাওয়ারের সঙ্গে সাক্ষাতকালে এ অভিমত জানায় দেশটি।
বৈঠকে অস্ট্রেলিয়ায় বাংলাদেশের হাইকমিশনার এম. আল্লামা সিদ্দিকী, বিজিএমইএ এর সহ-সভাপতি শহিদউল্লাহ আজিম, পরিচালক আসিফ আশরাফও উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্প্রসারণের সম্ভাব্য ক্ষেত্রগুলো এবং উভয় দেশ কীভাবে একসঙ্গে কাজ করে এই সম্ভাবনা পুরোপুরি কাজে লাগাতে পারে। আলোচনায় বাংলাদেশের এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন, অর্থনীতি ও বাণিজ্যের সম্ভাব্য প্রভাব এবং চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বাংলাদেশের প্রস্তুতি গ্রহণের বিষয়টিও গুরুত্ব পায়।
এ প্রসঙ্গে গ্যারি কাওয়ান বিজিএমইএ প্রতিনিধি দলকে এলডিসি গ্র্যাজুয়েশনের পরও বাংলাদেশের জন্য শুল্কমুক্ত বাজার প্রবেশাধিকার অব্যাহত রাখার জন্য অস্ট্রেলিয়া সরকারের সিদ্ধান্তের কথা জানান। প্রতিনিধি দলটি বাণিজ্য সুবিধা দেওয়ার জন্য অস্ট্রেলিয়া সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়নের গতি অব্যাহত রাখতে এটি দেশটিকে ভালোভাবে সহায়তা করবে।
বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান পোশাক ও বস্ত্র শিল্পের ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটাতে অস্ট্রেলিয়া থেকে তুলা ও উলের আমদানি বাড়াতে বাংলাদেশের আগ্রহের কথা উল্লেখ করেন।
ফার্স্ট অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি গ্যারি কাওয়ান সফররত প্রতিনিধি দলকে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগের পথ প্রশস্ত করতে অস্ট্রেলিয়া সরকারের সহযোগিতার আশ্বাস দেন। বৈঠকে উভয়পক্ষ বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়ার জন্য পারস্পরিক সুবিধা নিশ্চিত করতে একসঙ্গে কাজ করার বিষয়ে ইচ্ছা প্রকাশ করেন।