নিউজ ডেস্ক : দেশের বাজারে এখনও দেশীয় জাতের সজনে ডাটা উঠেনি। ফলে চাহিদা মেটাতে ভারত থেকে সবজিটি আমদানি শুরু হয়েছে। রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশের বিভিন্ন স্থানে তা সরবরাহ করা হবে। এ নিয়ে ৬ মাস ২০ দিন পর দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে সজনে ডাটা আমদানি শুরু হলো। এতে সরকারের রাজস্ব আহরণ বেড়েছে।
সোমবার সন্ধ্যা সোয়া ৬টায় ভারত থেকে একটি মিনি পিকআপে ২ হাজার ৯৪০ কেজি সজনে ডাটা বন্দরে প্রবেশ করে। মেসার্স খান ট্রেডার্স নামের আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান সেগুলো আমদানি করেছে। ভারতের আরএসটি এন্টারপ্রাইজ নামের রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান সজনে ডাটাগুলো রপ্তানি করে। প্রতি টন ১৫০ মার্কিন ডলার মূল্যে আমদানি করা হচ্ছে। কাস্টমসে যা ৫০০ ডলারে শুল্কায়ন করা হচ্ছে।
কেজিপ্রতি সজনে ডাটার আমদানি শুল্ক দিতে হচ্ছে প্রায় ২০ টাকা। এছাড়া বন্দর ও শ্রমিকসহ অন্যান্য মিলিয়ে কেজিতে ২৫ টাকার মতো খরচ পড়ছে। এর আগে চলতি বছরের ১৩ জানুয়ারি বন্দর দিয়ে ভারত থেকে সজনে ডাটা আমদানি হয়।
আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান খান ট্রেডার্সের প্রতিনিধি মাহবুব আলম বলেন, দেশীয় সজনে ডাটা উঠতে এখনও কিছু দিন বাকি রয়েছে। ইতোমধ্যেই ভারতে বারোমাসি সবজিটি উঠতে শুরু করেছে। এটি অসময়ে হয়। দেশীয় সজনে ডাটার চেয়ে তা আকারে বেশ মোটা ও স্বাদেও ভালো। ফলে দেশে বেশ চাহিদা রয়েছে।তিনি বলেন, ওষধি গুণ সম্পন্ন ভারতীয় এই সজনে ডাটার দেশের বাজারে দাম ভালো রয়েছে। বাড়তি চাহিদা ও দামের কথা মাথায় রেখে এদিনই প্রথম ভারত থেকে সবজিটি আমদানি করা হয়েছে। দেশটির অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে এসব আনা হয়েছে। দেশীয় সজনে ডাটা না ওঠা পর্যন্ত এবং পড়তা ও চাহিদা থাকলে বন্দর দিয়ে নিয়মিত আমদানি করা হবে।
হিলি স্থলবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন বলেন, বন্দর দিয়ে সবশেষ ১৩ জানুয়ারি ভারত থেকে সজনে ডাটা আমদানি হয়েছিল। ৬ মাস বন্ধের পর এদিন আবারও তা দেশে আনা হলো। প্রথম দিন ১টি মিনি পিকআপে ২ হাজার ৯৪০ কেজি আমদানি করা হয়েছে। তিনি বলেন, বন্দর দিয়ে অন্যান্য পণ্যের সঙ্গে নতুন করে এই সজনে ডাটা আমদানি করা হচ্ছে। ফলে সরকারের রাজস্ব আহরণ বাড়বে। বন্দর কর্তৃপক্ষের দৈনন্দিন আয় বৃদ্ধি পাবে। সজনে ডাটা কাঁচামাল। এজন্য কাস্টমসের সব প্রক্রিয়া শেষে দ্রুত ব্যবসায়ীরা যাতে ছাড়করণ নিতে পারেন, সেজন্য বন্দর কর্তৃপক্ষ সবধরনের ব্যবস্থা নিয়েছে। সূত্র : চ্যানেল ২৪ অনলাইন