নিজস্ব প্রতিবেদক: পরিবেশবান্ধব সবুজ কারখানার সনদ পেল তৈরি পোশাক খাতের আরও ৫ কোম্পানি। এর মধ্যে তিনটি কোম্পানি পেল প্লাটিনাম সনদ আর দুটি পেল গোল্ড সনদ। এর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের ২০০ কারখানা সবুজ সনদ পেল।
মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) তৈরি পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর পক্ষ থেকে নতুন করে পাঁচটি কারখানার সনদ প্রাপ্তির কথা জানানো হয়।
কোম্পানিগুলো হচ্ছে- লিজ ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রি লিমিটেড, লিডা টেক্সটাইল অ্যান্ড ডাইং লিমিটেড, প্যাসিফিক নিটেক্স লিমিটেড, ইউনিভার্সাল জেনস লিমিটেড এবং বিআইআরডিএস এ অ্যান্ড জেড লিমিটেড।
সবুজ কারখানার স্বীকৃতি সনদ পেল আরও ২ প্রতিষ্ঠান
এই পাঁচটি কোম্পানির মধ্যে পরিবেশসম্মত সবুজ কারখানার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি লিডারশিপ ইন এনার্জি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল ডিজাইন বা লিড সনদ পেয়েছে তিন পোশাক কারখানা। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠান ইউএস গ্রিন বিল্ডিং কাউন্সিল (ইউএসজিবিসি) এ সনদ দেয়। এগুলো হচ্ছে- লিডা টেক্সটাইল অ্যান্ড ডাইং লিমিটেড, লিজ ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রি লিমিটেড এবং প্যাসিফিক নিটেক্স লিমিটেড।
এছাড়া গোল্ড সার্টিফাইড সনদ পেয়েছে ইউনিভার্সাল জেনস লিমিটেড এবং বিআইআরডিএস এ অ্যান্ড জেড লিমিটেড। সব মিলিয়ে ২০০ কারখানা এখন লিড গ্রিন সার্টিফিকেট লাভ করেছে।
উল্লেখ্য, পোশাকশিল্পের উদ্যোক্তা সাজ্জাদুর রহমান মৃধার হাত ধরে ২০১২ সালে প্রথম পরিবেশবান্ধব সবুজ কারখানার যাত্রা শুরু দেশে। পাবনার ঈশ্বরদী ইপিজেডে স্থাপিত কারখানাটি হলো ‘ভিনটেজ ডেনিম স্টুডিও।’ এরপর একটার পর একটা সবুজ পোশাক কারখানা গড়ে উঠছে বাংলাদেশে। সবশেষ পাঁচ কারখানা মিলে ২০০টি সবুজ কারখানার সনদ পেল দেশ।
২০০ সবুজ কারখানার মধ্যে রয়েছে প্লাটিনাম ৭৩টি, গোল্ড ১১৩টি, সিলভার ১০টি ও সার্টিফাইড চারটি। এতে সর্বমোট গ্রিন ফ্যাক্টরি বা সবুজ কারখানার সংখ্যা দাঁড়ালো ২০০টিতে। বিশ্বের সেরা কিছু কারখানার আবাসস্থল বাংলাদেশ, বিশ্বের শীর্ষ ১৫টি লিড গ্রিন কারখানার মধ্যে ১৩টি বাংলাদেশে অবস্থিত।
এ বিষয়ে বিজিএমইএর সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, আমরা আনন্দিত যে ইউএসজিবিসি সনদপ্রাপ্ত আরএমজি কারখানার সংখ্যা বাংলাদেশে দুইশ ছুঁয়েছে।