যমুনা নদীর উন্নয়নে ১০২ মিলিয়ন ডলার ঋণ দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক

নিউজ ডেস্ক : যমুনা নদীর তীর রক্ষা, নাব্যতা বৃদ্ধি, নদীতীরের মানুষকে বাস্তুচ্যুত হওয়া থেকে রক্ষা করা, তাদের জীবনযাত্রার মান বাড়ানো এবং অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে সহায়তা করতে বাংলাদেশকে ১০২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ সহায়তা দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক।

সম্প্রতি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বিশ্বব্যাংক।

এতে বলা হয়েছে, যমুনা নদীর তীর সুরক্ষা, নাব্যতা বৃদ্ধি, নদীতীরের মানুষকে বাস্তুচ্যুত হওয়া থেকে রক্ষা করা, তাদের জীবনযাত্রার মান বাড়ানো এবং অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে সহায়তা করতে এ ঋণ অনুমোদন দেয়া হয়েছে।

‘যমুনা রিভার সাসটেইনেবল ম্যানেজমেন্ট প্রজেক্ট-১’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় নেভিগেশন চ্যানেলগুলোকে উন্নত করা হবে। যাতে সারা বছর বড় কার্গো জাহাজ ভিড়তে পারে। সেই সঙ্গে এটি অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন পুনরুজ্জীবিত করতে এবং আঞ্চলিক সংযোগ ও বাণিজ্য বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে।

এদিকে এটি নদীভাঙন ও বন্যা থেকে প্রায় ২ হাজার ৫০০ হেক্টর জমি রক্ষা করতে, স্থানীয় জনগণের জীবন-জীবিকা ও সম্পদের সুরক্ষা এবং নতুন অর্থনৈতিক সুযোগ তৈরি করতেও সহায়তা করবে।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ ও ভুটানের বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদৌলায়ে সেক বলেছেন, যমুনা পৃথিবীর বৃহত্তম এবং গতিশীল নদীগুলোর মধ্যে একটি। এই নদীর ওপর লাখ লাখ মানুষের জীবিকা নির্ভর করে। তবুও জলবায়ু পরিবর্তন ও ক্রমবর্ধমান পানির স্তরের কারণে নদীভাঙন প্রতিবছর হাজার হাজার মানুষকে বাস্তুচ্যুত করেছে এবং তাদের দারিদ্র্যের দিকে ঠেলে দিয়েছে।

তিনি আরও বলেন, যমুনা নদীর টেকসই এবং জলবায়ু সহনশীল ব্যবস্থাপনা দেশ ও জনগণের জন্য প্রচুর অর্থনৈতিক সুবিধা বয়ে আনবে। কাজেই বাংলাদেশকে এই নদীতীরবর্তী অংশগুলোকে রক্ষা করতে এবং নেভিগেশন চ্যানেলগুলোকে উন্নত করতে একটি বহু-পর্যায়ভিত্তিক কর্মসূচি বিকাশ ও বাস্তবায়নে সহায়তা করছে বিশ্বব্যাংক। এ ক্ষেত্রে আমরা আমাদের বহুপাক্ষিক ও দ্বিপাক্ষিক উন্নয়ন অংশীদারদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ চালিয়ে যাব।

প্রকল্পটি বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো ফুলছড়ি, গাইবান্ধা এবং কালিহাতী অতিক্রম করে যমুনার দুটি চ্যানেলে প্রকৃতিভিত্তিক সমাধান ও উদ্ভাবনী নদী কাঠামো এবং নৌ-চলাচলে সহায়তা করবে বলে উল্লেখ করেছে বিশ্বব্যাংক।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, উন্নত নেভিগেশন চ্যানেলগুলোর মাধ্যমে প্রায় এক লাখ লোক উপকৃত হবেন। তা ছাড়া প্রকল্পটির মাধ্যমে যমুনা নদীর তীরে বসবাসকারী মানুষের দুর্যোগ এবং বাস্তুচ্যুতির ঝুঁকি কমানোর দিকেও নজর দেয়া হবে। এ ক্ষেত্রে প্রায় ১ দশমিক ২ মিলিয়ন মানুষকে একটি বিমা প্রকল্পের আওতায় আনা হবে। এ প্রকল্পের কার্যক্রম সক্রিয় হলে সুবিধাভোগীরা ডিজিটালভাবে অর্থ পাবেন। প্রকল্পটির সুবিধাভোগীদের এক-তৃতীয়াংশের বেশিই হবেন নারী।

প্রায় ১ লাখ ২০ হাজার মানুষ সুরক্ষা তহবিল থেকেও উপকৃত হবেন বলেও জানিয়েছে বিশ্বব্যাংক।

পূর্ববর্তী নিবন্ধডেঙ্গু মোকাবিলায় বিদেশ থেকে আসছে ২০ লাখ পিস স্যালাইন
পরবর্তী নিবন্ধরোহিঙ্গা গণহত্যা মামলায় ওআইসি’র দেশগুলোর সহায়তা কামনা