চীনের ক্যান্টন ফেয়ারে সাড়া ফেলছে ওয়ালটনের আইওটি-বেজড স্মার্ট এসি

নিউজ ডেস্ক : বিশ্বের সর্ববৃহৎ ট্রেড শো ‘চায়না আমদানি ও রপ্তানি মেলা’ বা ক্যান্টন ফেয়ারে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে বাংলাদেশি ওয়ালটন ব্র্যান্ডের ব্যাপক বিদ্যুৎ-সাশ্রয়ী ও পরিবেশবান্ধব সর্বাধুনিক প্রযুক্তির এয়ার কন্ডিশনার। যার মধ্যে রয়েছে আইওটি বেজড অফলাইন স্মার্ট ভয়েস কন্ট্রোল, ডিজিটাল ডিসপ্লে সমৃদ্ধ স্প্লিট এসিসহ ভিআরএফ এসি। ওয়ালটনের অফলাইন ভয়েস কন্ট্রোল এসি বিশ্বের যে কোনো দেশের ভাষায় পরিচালনা করা যাচ্ছে।

ক্যান্টন ফেয়ারে দায়িত্বরত ওয়ালটন কর্মকর্তাদের বরাতে জানা গেছে, বিভিন্ন দেশের ক্রেতা-দর্শনার্থীরা ওয়ালটন প্যাভিলিয়নে ব্যাপক ভিড় করছেন। তাদের আগ্রহের কেন্দ্রে রয়েছে ওয়ালটনের অত্যাধুনিক বিভিন্ন মডেল ও ফিচারের এসিসহ অন্যান্য প্রযুক্তি পণ্য।

উল্লেখ্য, চীনের গুয়াংজুতে চায়না ইমপোর্ট অ্যান্ড এক্সপোর্ট ফেয়ার কমপ্লেক্সে অক্টোবরের ১৫ থেকে ১৯ তারিখ পর্যন্ত ১৩৪তম শরৎকালীন ক্যান্টন ফেয়ারের প্রথম ধাপ চলমান রয়েছে। এতে ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড হাউজহোল্ড ইলেকট্রিক্যাল অ্যাপ্লায়েন্সেস ক্যাটাগরিতে অংশ নিচ্ছে বাংলাদেশের একমাত্র প্রতিষ্ঠান ওয়ালটন। ক্যান্টন ফেয়ারের আন্তর্জাতিক প্যাভিলিয়নে স্থাপন করা হয়েছে ওয়ালটনের মেগা প্যাভিলিয়ন।

জানা গেছে, পাঁচ দিনব্যাপী এই মেগা ট্রেড শো-তে প্রদর্শিত হবে ‘মেড ইন বাংলাদেশ’ ট্যাগযুক্ত ইউরোপিয়ান এসিসি ব্র্যান্ড এবং ওয়ালটন ব্র্যান্ডের আন্তর্জাতিক মানের ইলেকট্রনিক্স ও ইলেকট্রিক্যাল পণ্যসমূহ। এর মধ্যে রয়েছে ব্যাপক বিদ্যুৎ-সাশ্রয়ী ও পরিবেশবান্ধব বিশ্বের সর্বাধুনিক প্রযুক্তি, ডিজাইন ও ফিচারসমৃদ্ধ এআইওটি বেজড স্মার্ট রেফ্রিজারেটর, এয়ার কন্ডিশনার, ইলেকট্রিক ফ্যান ইত্যাদি প্রযুক্তিপণ্য।

ওয়ালটন এসির চিফ বিজনেস অফিসার (সিবিও) মোহাম্মদ তানভীর রহমান বলেন, ক্যান্টন ফেয়ারে আগত বিভিন্ন বয়সের দেশি-বিদেশি ক্রেতা-দর্শনার্থীরা ওয়ালটন প্যাভিলিয়নে ভিড় করছেন। তারা ব্যাপক উৎসাহ নিয়ে বাংলাদেশে নিজস্ব প্রোডাকশন প্লান্টে তৈরি ওয়ালটনের এসিসহ নানা পণ্য খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখছেন। ক্রেতা-দর্শনার্থীরা ওয়ালটন এসির ব্যাপক প্রশংসা করছেন। পাশাপাশি বাংলাদেশের প্রযুক্তিগত উৎকর্ষতা দেখে তারা যারপরনাই আনন্দ ও উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন। ওয়ালটনের ভিআরএফ এসি উৎপাদনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ এখন বিশ্বের ৯ম ভিআরএফ এসি উৎপাদনকারী দেশে পরিণত হয়েছে জেনে অভিভূত ফেয়ারের দর্শনার্থীরা।

তিনি বলেন, চীনের ঐতিহ্যবাহী এবং মর্যাদাপূর্ণ এই মেলায় দক্ষিণ এশিয়া ও বাংলাদেশের একমাত্র সর্ববৃহৎ ইলেকট্রনিক্স ও ইলেকট্রিক্যাল প্রতিষ্ঠান ওয়ালটন ৩য় বারের মতো অংশগ্রহণ করছে। ক্যান্টন ফেয়ারের মাধ্যমে আইওটি বেজড পরিবেশবান্ধব স্মার্ট কনজ্যুমার ইলেকট্রনিক্স পণ্য উৎপাদন খাতে বাংলাদেশের প্রযুক্তিগত উৎকর্ষতা ও সক্ষমতা বিশ্ব দরবারে তুলে ধরছে ওয়ালটন। ফেয়ারে অংশ গ্রহণের উদ্দেশ্য হলো- বিশ্ব বাজারে ওয়ালটনের শক্তিশালী অবস্থান তৈরি করা। আমাদের প্রত্যাশা, ওয়ালটন তথা বাংলাদেশের রপ্তানি বাজার আরও সম্প্রসারণের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে চীনের ক্যান্টন ফেয়ার।

পূর্ববর্তী নিবন্ধচট্টগ্রামে জনতা ব্যাংকের শাখা ব্যবস্থাপক সম্মেলন অনুষ্ঠিত
পরবর্তী নিবন্ধএ বছর চাল আমদানি হয়নি, রপ্তানি করা যায় কি না দেখছি: খাদ্যমন্ত্রী