নিউজ ডেস্ক : প্রাণ-আরএফএল গ্রুপ দেশের রপ্তানি বাণিজ্যে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। বর্তমানে বিশ্বের ১৪৫টি দেশে নিয়মিত রপ্তানি হচ্ছে প্রাণ-আরএফএল-এর পণ্য। বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখায় এনিয়ে টানা ২০ বার গ্রুপের অঙ্গ প্রতিষ্ঠানগুলো জাতীয় রপ্তানি পদক অর্জন করেছে। একই সঙ্গে বেসরকারি খাতে সর্বোচ্চ কর্মসংস্থানও সৃষ্টি করেছে প্রাণ-আরএফএল।
জাতীয় রপ্তানি ট্রফি পাওয়ার পর অনুভূতি জানাতে গিয়ে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের পরিচালক (করপোরেট ফাইন্যান্স) উজমা চৌধুরী এসব কথা বলেন।
বুধবার (৮ নভেম্বর) বিকেলে ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জাতীয় রপ্তানি ট্রফির অনুষ্ঠান হয়। এসময় পদক তুলে দেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
অনুষ্ঠানে উজমা চৌধুরী বলেন, বর্তমান সরকার, বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সবস্তরে নারীর অংশগ্রহণ ও ক্ষমতায়নে সহায়তা দিচ্ছেন। এজন্য আমি প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
তিনি আরও বলেন, আজ সবক্ষেত্রে নারীর পদচারণা। শুধু পদচারণা বললে ভুল হবে, সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও নীতি প্রণয়নেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন নারীরা।
জাতীয় রপ্তানি পদক পাওয়ার বিষয়ে উজমা চৌধুরী বলেন, এবছর আমার প্রতিষ্ঠান ডিউরেবল প্লাস্টিক লিমিটেড রপ্তানি পদক পেয়েছে। ডিউরেবল প্লাস্টিক লিমিটেড দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পগ্রুপ প্রাণ-আরএফএলের একটি অঙ্গপ্রতিষ্ঠান। রপ্তানি বাণিজ্যে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখায় এর আগেও পাঁচবার জাতীয় রপ্তানি ট্রফি অর্জন করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
প্রাণ-আরএফএল-এর এ পরিচালক বলেন, আমাদের মূল প্রতিষ্ঠান প্রাণ-আরএফএল দেশের রপ্তানি বাণিজ্যে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে। বাংলাদেশের শীর্ষ ও সম্ভাবনাময় ১০টি রপ্তানি খাতের মধ্যে সাতটিতে পণ্য রপ্তানি করে প্রাণ-আরএফএল। বর্তমানে কৃষি প্রক্রিয়াজাত পণ্য, প্লাস্টিক পণ্য, তৈরি পোশাক, ফুটওয়্যার, হালকা প্রকৌশল, কেমিক্যাল ও ফার্নিচারসহ নানা খাতের পণ্য বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে নিয়মিত রপ্তানি করছে।
তিনি আরও বলেন, বেসরকারি খাতে সর্বোচ্চ কর্মসংস্থান সৃষ্টি ছাড়াও প্রাণ-আরএফএল সবচেয়ে বেশি খাতে পণ্য রপ্তানি করে, যা দেশের রপ্তানি পণ্যের বৈচিত্র্যকরণে বড় ধরনের ভূমিকা রাখছে। বর্তমানে প্রাণ-আরএফএল-এর পণ্য বিশ্বের ১৪৫টি দেশে নিয়মিত রপ্তানি হচ্ছে। বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখায় এনিয়ে টানা ২০ বার প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের অঙ্গপ্রতিষ্ঠানসমূহ জাতীয় রপ্তানি ট্রফি অর্জন করেছে।
বাংলাদেশের রপ্তানি বাণিজ্যে বৈচিত্র্য আনতে প্রাণ-আরএফএল নিরলসভাবে কাজ করছে বলে জানান উজমা চৌধুরী। তিনি বলেন, রপ্তানিতে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিতে চায় প্রাণ-আরএফএল গ্রুপ।
উজমা চৌধুরী আরও বলেন, আমাদের গ্রুপের উৎপাদিত পণ্য এখন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নামিদামি ব্র্যান্ডের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে বিখ্যাত সব চেইনশপে স্থান করে নিচ্ছে, যা দেশের জন্য অত্যন্ত গর্বের। যেমন- ওয়ালমার্ট, ক্যারিফোর, লবলোজ, আলদি, লিডল, মাইডিন, ডলারামা ও টেসকোর মতো চেইনশপে পাওয়া যায় প্রাণ-আরএফএল-এর পণ্য।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের রপ্তানির আয়ের প্রায় ৮০ শতাংশই আসে তৈরি পোশাক থেকে। এ কারণে প্রধানমন্ত্রী বারবার রপ্তানির ক্ষেত্র বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেন। এখনই সময়, দেশের রপ্তানি খাতে বৈচিত্র্য আনা। বাংলাদেশের রপ্তানি বাণিজ্যে বৈচিত্র্য আনতে আমরা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি।
বিশ্বের প্রত্যন্ত অঞ্চলে প্রাণ-আরএফএল-এর পণ্য ছড়িয়ে দেওয়া প্রধান লক্ষ্য উল্লেখ করে উজমা চৌধুরী বলেন, এ কারণেই দেশের বাজারে ভোক্তাদের জন্য যেসব পণ্য উৎপাদন ও বাজারজাত করি, সেসব পণ্যের সবটাই রপ্তানি করতে চাই আমরা। এ লক্ষ্যে আমরা পুরোদমে কাজ শুরু করেছি এবং ভালো ফল পাচ্ছি। প্রতিনিয়ত বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ক্রেতারা আমাদের কারখানা পরিদর্শন করছেন এবং ক্রয়াদেশ দিচ্ছেন।
J
এছাড়া বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অনুষ্ঠিত মেলা রপ্তানি বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আমরা নিয়মিত এসব মেলায় অংশগ্রহণ করি।