মিয়ানমারের পালিয়ে আসা সীমান্তরক্ষীর সংখ্যা বেড়ে ২২৯

নিউজ ডেস্ক : মিয়ানমারের রাখাইনে বিদ্রোহী আরাকান আর্মির সঙ্গে সংঘর্ষে টিকতে না পেরে তুমব্রু সীমান্ত পয়েন্ট দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করছে দেশটির আরও ১১৪ সীমান্তরক্ষী বাহিনী। এ নিয়ে মোট ২২৯ জন সদস্য বাংলাদেশে আশ্রয় নিলেন।

মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরিফুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আজ সকাল পর্যন্ত আশ্রয় নেওয়া বিজিপির সদস্য সংখ্যা ছিল ১১৩। পরে আরও দুজনকে আসলে সে সংখ্যা হয় ১১৫। এরপর একসঙ্গে আরও ১১৪ জন বাংলাদেশের সীমান্তে প্রবেশ করেন।

বিজিপি সদস্যদের নিরস্ত্রীকরণ করে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় নিরাপদ স্থানে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে।

এদিকে, চলমান এই সংঘর্ষ ঘিরে শিশুদের নিয়ে অনেক পরিবার পায়ে হেঁটেই রাখাইন ছাড়ছে। তাদের কেউ কেউ ছোট থলেতে করে খাবার ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় কিছু জিনিস বহন করছে।

জানা গেছে, সাম্প্রতিক দিনগুলোতে আরাকান আর্মি রাখাইন রাজ্যের অনেক এলাকা দখল করেছে। কয়েক মাস আগে তারা নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে বিজিপির সব ফাঁড়ি দখল করে নেয়। তবে তুমব্রু সীমান্তের ঠিক ওপারে বিজিপির আরও একটি ক্যাম্প আছে, যেটি ‌‘রাইট ক্যাম্প’ নামে পরিচিত। আরাকান আর্মি এখন সেটি দখলের চেষ্টা করছে।

মিয়ানমার ইস্যুতে বাংলাদেশের সশস্ত্রবাহিনী ও বিজিবিকে (বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ) ধৈর্য ধারণ করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ ওই ঘটনাটি বাংলাদেশ নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে এবং এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।

অন্যদিকে, মিয়ানমার সীমান্তের ওপার থেকে আসা মর্টার শেলের আঘাতে দুজনের মৃত্যুর ঘটনায় মঙ্গলবার ঢাকায় মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত অং কিউ মোয়েকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করা হয়েছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধইউনিয়ন ব্যাংকের ২ উপশাখা উদ্বোধন
পরবর্তী নিবন্ধসীমান্তে বিজিবি-পুলিশ একসঙ্গে কাজ করছে: আইজিপি