নিউজ ডেস্ক : ব্যাংকসহ বিভিন্ন খাতে অযৌক্তিক করের চাপ তৈরি হলে এনবিআর তা বিবেচনা করবে বলে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম।
মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) প্রাক বাজেট আলোচনায় তিনি এ আশ্বাস দেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে উত্তরণকালে বিভিন্ন খাতে সক্ষমতা বাড়াতে হবে। সরকারের রাজস্ব বাড়াতে হবে। এজন্য প্রতিষ্ঠান ও শিল্পগ্রুপগুলোকে শুল্ক-কর সহায়তা বা করছাড়ের নির্ভরশীলতা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।
তিনি বলেন, কোথায়-কোথায় আমাদের কর ছাড় আছে, কেন আমরা এই সুবিধা দিচ্ছি এবং তার ফল হিসেবে আমরা কি পাচ্ছি সেগুলো খুঁজে বের করছি। সেখানে কোথায় আমাদের কর ছাড় দেওয়া প্রয়োজন সেটা ধাপে-ধাপে দেখতে হবে, সেগুলো আমরা খুঁজে বের করছি।
প্রাক বাজেট সভায় ৫০ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ ও ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত ক্রেডিট কার্ডে রিটার্ন জমার প্রমাণ (পিএসআর) প্রত্যাহারের দাবি জানান ব্যাংকাররা।
অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশের অন্যান্য দাবির মধ্যে রয়েছে- ব্যাংকের কর্পোরেট আয়করের হার ৩০ শতাংশ হ্রাস করা, স্বীকৃত ভবিষ্যৎ তহবিল ও স্বীকৃত আনুতোষিক তহবিলের অর্জিত আয়ের ওপর আরোপিত কর প্রত্যাহার করা, জিরো-কুপন বন্ডে বিনিয়োগের জন্য কর প্রণোদনার আওতায় ব্যাংকগুলোকে নিয়ে আসা ইত্যাদি।
আলোচনায় ব্র্যাক ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশের চেয়ারম্যান সেলিম রেজা ফরহাদ হোসেন বলেন, ঋণ ও ডিপোজিটের ক্ষেত্রে ট্যাক্স রিটার্ন জমার প্রমাণ (পিএসআর) দেওয়ার নিয়ম চালু হয়েছিল, সেটা ভালো সিদ্ধান্ত।
ক্রেডিট কার্ডের ক্ষেত্রে ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত পিএসআর জমা দেওয়ার সিদ্ধান্ত পরিহারের দাবি জানান তিনি।
সিএমএসএমই খাতে ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে পিএএসআর বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, গ্রামে ছোটো বা মাঝারি আকারে ব্যবসায়ীদের ক্ষেত্রে ঋণ দেওয়ার জন্য পিএসআর জমা নেওয়া কঠিন হয়ে যাচ্ছে। ফলে তারা অপ্রাতিষ্ঠানিক খাত থেকে ঋণ আগ্রহী হচ্ছে। তিনি এই খাতে ৫০ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ প্রদানের জন্য পিএএসআর প্রত্যাহারের দাবি জানান।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এটিএম তারিকুজ্জামান বলেন, ব্রোকারদের এক লাখ টাকার ট্রেডের বিপরীতে ৫০ টাকা কর নেওয়া হয়। যা আগে ছিল মাত্র ১৫ টাকা।
বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনা এই ট্যাক্সের পরিমাণ কমানোর আহ্বান জানান তিনি। পাশাপাশি তালিকাভুক্ত কোম্পানির কর্পোরেট করহার কমানোর প্রস্তাবও দেন তিনি।