নিউজ ডেস্ক : আগামী ১০ মার্চের মধ্যে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় ৫০ লাখ পরিবারকে ১৫ টাকা কেজি দরে দেড় লাখ টন চাল বিতরণ করা হবে বলে জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। একই সঙ্গে এ চাল বিতরণ করা হলে বাজারের ওপর চাপ কমবে এবং বাজারে স্বস্তি আসবে বলে মনে করেন মন্ত্রী।
সোমবার (৪ মার্চ) সকালে ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জেলা প্রশাসক সম্মেলন ২০২৪ এর দ্বিতীয় দিনের তৃতীয় অধিবেশনে কৃষি, খাদ্য, মৎস্য প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের কার্য অধিবেশন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা জানান।
খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি এগিয়ে নিয়ে আসছেন সে বিষয়ে জানতে চাইলে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি ১ মার্চ থেকেই লিফটিং করতে বলেছি। আমাদের ১ মার্চ থেকে ২০ মার্চ পর্যন্ত একটি সিদ্ধান্ত ছিল। সেটা থেকে কমিয়ে আমরা খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির আওতায় ৫০ লাখ পরিবারকে জন্য যে ডিলার আছে তারা ১০ মার্চের মধ্যে দেড় লাখ টন বিতরণ শেষ করবে।
এতে বাজারে স্বস্তি আসবে কিনা জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, আমি মনে করি দেড় লাখ টন চাল যদি বাজারে ১৫ টাকা দরে যায় তাহলে ৫০ লাখ পরিবারকে তো আর বাজার থেকে চাল কিনতে হবে না। এতে স্বস্তি আসবে বলে আমি মনে করি।
২০ ফেব্রুয়ারি থেকে চালের দাম ও জাত বস্তায় লেখা থাকবে সেটা কার্যকর হয়েছে কিনা জানতে চাইলে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, পরিপত্র জারি করব আর তা কার্যকর করব ১৪ এপ্রিল বা পহেলা বৈশাখ থেকে। কারণ যে সমস্ত চাল এখন বাজারে বস্তাবন্দি আছে এবং সিল মারা আছে সেগুলো এখন আর কেউ প্যাকেট চেইঞ্জ করবে না। আর প্যাকেট না পাল্টালে এটার বিরুদ্ধে একটা মামলা করে দিলো ভ্রাম্যমাণ আদালত বা ভোক্তা অধিদপ্তর। এজন্য ব্যবসায়ীদের সময় দিতে হবে। কাজেই নতুন বছরে বোরো চাল উঠবে তখন থেকে এটা কার্যকর হবে৷
রোববার (৩ মার্চ) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের শাপলা হলে চার দিনের জেলা প্রশাসক(ডিসি) সম্মেলন-২০২৪ এর উদ্বোধন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় সম্পর্কিত কার্য-অধিবেশনে আন্তর্জাতিক বাজারে রপ্তানিযোগ্য পণ্য বহুমুখীকরণ, চামড়াজাত শিল্পের উন্নয়ন ও চামড়া রপ্তানির বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া, রোজার মাস সামনে রেখে তেল, চিনি ও চালের দাম নিয়ন্ত্রণ, প্রকল্প বাস্তবায়নে ভূমি অধিগ্রহণের বিষয়টি দ্রুত নিষ্পত্তি করা এবং সার্বজনীন পেনশন স্কিম বাস্তবায়ন ত্বরান্বিত করার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে বলে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে জানানো হয়েছে।
এবারের সম্মেলনের আলোচ্যসূচিতে থাকছে ৩৫৬ প্রস্তাব। প্রস্তাবগুলোর জনসেবা বৃদ্ধি, জনদুর্ভোগ হ্রাস করা, রাস্তাঘাট ও ব্রিজ নির্মাণ, পর্যটনে বিকাশ, আইন-কানুন বা বিধিমালা সংশোধন, জনস্বার্থ সংক্ষণের বিষয়গুলো অগ্রাধিকার ভিত্তিতে করা হয়েছে। এর মধ্যে সর্বোচ্চ ২২টি প্রস্তাব পড়েছে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ থেকে। সম্মেলনে সর্বমোট অধিবেশন ৩০টি। এর মধ্যে কার্য-অধিবেশন ২৫টি (১টি উদ্বোধন অনুষ্ঠান, ১টি স্পীকারের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ এবং মতবিনিময় এবং ১টি প্রধান বিচারপতির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ এবং সদয় নির্দেশনা গ্রহণ এবং অন্যান্য অনুষ্ঠানিকতা ২টি। এছাড়া অংশগ্রহণকারী কার্যালয়: ১টি (প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়)।
এবারের ডিসি সম্মেলনে প্রথমবারের মতো সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিবরা বিভাগীয় কমিশনার ও ডিসিদের কাছে তাদের অভিজ্ঞতা তুলে ধরবেন ও প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেবেন।