স্পোর্টস ডেস্ক : টি-টোয়েন্টি সিরিজের তিন ম্যাচেই টসে জেতার পর এবার হেরেছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের প্রথমটিতে টস জিতে ব্যাটিং নিয়েছে সফরকারী শ্রীলঙ্কা। চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে খেলা শুরু হবে দুপুর আড়াইটায়।
টি-টোয়েন্টি সিরিজের শেষটা মনমতো হয়নি বাংলাদেশ দলের জন্য। লঙ্কানদের বিপক্ষে প্রথম সিরিজ জয়ের সম্ভাবনা ছিল। সেটা কাজে লাগানো যায়নি। ২-১ ব্যবধানে সিরিজ হারের পর এবার নতুন শুরুর আশা স্বাগতিকদের। নিজেদের লাকি গ্রাউন্ড হিসেবে খ্যাত চট্টগ্রামে নিজেদের প্রিয় ফরম্যাট ওয়ানডেতে লঙ্কানদের মুখোমুখি শান্তরা।
সর্বশেষ নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে শেষ ওয়ানডের দল থেকে আজকের প্রথম ওয়ানডের একাদশে তিন পরিবর্তন এসেছে। এনামুল হক বিজয়, রিশাদ হোসেন ও মুস্তাফিজুর রহমানের জায়গায় একাদশে ফিরেছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, তাসকিন আহমেদ ও তাইজুল ইসলাম। অন্যদিকে, সিরিজ শুরুর একদিন আগে স্কোয়াড ঘোষণা করেছিল শ্রীলঙ্কা। ঘোষিত দলে চোট কাটিয়ে ফিরেছেন পাথুম নিশাঙ্কা, লাহিরু কুমারা। দুজনই আছেন প্রথম ওয়ানডের একাদশে।
বাংলাদেশ–শ্রীলঙ্কার মুখোমুখি লড়াই মানেই যেন উত্তাপ ছড়ানো আবহ। সেই উত্তেজনার শুরুটা হয়েছিল নিদাহাস ট্রফির নাগিন ড্যান্স থেকে। দুই দলের মুখোমুখি লড়াই হয়ে যায় নাগিন ডার্বি। তবে তাতে নতুন উপাদান যোগ হয় সর্বশেষ ওয়ানডে বিশ্বকাপে। অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউসের টাইমড–আউট এখন এই দ্বৈরথের নতুন উপাদান।
গত শনিবার টি-টোয়েন্টির সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে সেই উত্তাপ আবারও টের পাওয়া গেছে। ম্যাচে তাওহীদ হৃদয়ের সঙ্গে বাদানুবাদে জড়িয়েছেন লঙ্কান ক্রিকেটাররা। এরপর বাংলাদেশকে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ হারানোর পর ট্রফি নিয়ে উদযাপন করেছে শ্রীলঙ্কা। তবে সেই উদযাপনের সীমা ছাড়িয়েছে সদলবলে তাদের করা টাইমড আউট ভঙ্গি। এ সময় শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটাররা হাতের ঘড়ির দিকে ইঙ্গিত করে অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউসকে করা সেই আলোচিত ঘটনা মনে করিয়ে দিয়েছেন। জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে শুরু হওয়া ওয়ানডে সিরিজেও টাইমড আউট বিষয়টির রেশ রয়ে যেতে পারে।
বাংলাদেশ একাদশ
নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক), লিটন দাস, মুশফিকুর রহিম, তাওহিদ হৃদয়, সৌম্য সরকার, মেহেদী হাসান মিরাজ, তাইজুল ইসলাম, শরীফুল ইসলাম, তাসকিন আহমেদ, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও তানজিম হাসান সাকিব।
শ্রীলঙ্কা একাদশ
আভিস্কা ফার্নান্দো, পাথুম নিশাঙ্কা, কুশাল মেন্ডিস (অধিনায়ক), সাদিরা সামারাবিক্রমা, চারিথ আসালাঙ্কা (সহ-অধিনায়ক), জানিত লিয়ানাগে, ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা, মহেশ থিকশানা, দিলশান মাদুশঙ্কা, প্রমোদ মাদুশান ও লাহিরু কুমারা।