আইএলও গভর্নিং বডির অধিবেশনে ফিলিস্তিনে গণহত্যার নিন্দা বাংলাদেশের

নিউজ ডেস্ক : আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) গভর্নিং বডির অধিবেশনে ফিলিস্তিন ভূখণ্ডের সঙ্কট নিয়ে বাংলাদেশের বক্তব্য পেশ করেছেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব এম. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া।

মঙ্গলবার (১৩ মার্চ) বিকেলে সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার গভর্নিং বডির চলমান ৩৫০তম অধিবেশনে অধিকৃত ফিলিস্তিন ভূখণ্ডে সঙ্কট-সম্পর্কিত আইএলওর কাজের প্রতিবেদনের ওপর বাংলাদেশের বক্তব্য পেশ করেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব এম. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া তার বক্তব্যে দখলদার ইসরায়েলি সশস্ত্র বাহিনীর দ্বারা ফিলিস্তিনের নারী ও শিশুসহ নিরস্ত্র বেসামরিক নাগরিকদের ওপর গণহত্যামূলক হামলায় বাংলাদেশের গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন।

তিনি আন্তর্জাতিক মানবিক ও মানবাধিকার আইনের চরম লঙ্ঘন এবং সেখানকার জনগণকে গাজা হতে বিতাড়িত করার প্রচেষ্টার জন্য ইসরায়েলের নিন্দা জানান। অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি এবং গাজায় মানবিক সহায়তার পূর্ণ ও বাধাহীন প্রবেশাধিকার দাবিও করেন তোফাজ্জল হোসেন মিয়া।

মুখ্য সচিব বাংলাদেশের গভীর উদ্বেগের কথা জানিয়ে বলেন, গাজা উপত্যকায় ৬৬ শতাংশ মানুষের চাকরি হারিয়েছে। একই সাথে ৮৫ শতাংশ মানুষের কর্মসংস্থান হ্রাস হয়েছে। পাশাপাশি পশ্চিম তীরে ৪০ শতাংশ মানুষ চাকরি হারিয়েছে যার পরিপ্রেক্ষিতে ২০২৩ সালের চতুর্থ ত্রৈমাসিকে ফিলিস্তিনের অর্থনীতি এক তৃতীয়াংশ সঙ্কুচিত হয়েছে।

তিনি ফিলিস্তিনি জনগণের কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে সেখানে অবকাঠামো নির্মাণ এবং নিহত ও প্রতিবন্ধী ফিলিস্তিনি ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্যদের জন্য চাকরির ব্যবস্থা করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশের স্বীকৃতি এবং ইসরায়েলকে ফিলিস্তিনের অবৈধ দখলদার শক্তি হিসেবে বাংলাদেশের অবস্থানের কথা পুনর্ব্যক্ত করেন। মুখ্য সচিব।

এছাড়া তিনি আইএলও কর্তৃক গৃহীত উন্নয়ন সহযোগিতা কর্মসূচিতে অবদান রাখার জন্য দাতা এবং অংশীদার দেশগুলোকে ধন্যবাদ জানান। ফিলিস্তিনিরা যাতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমর্থনে তাদের অর্থনীতি পুনর্গঠন করতে পারে সে লক্ষ্যে দেশটির বেসামরিক নাগরিকদের ওপর সহিংস হামলা বন্ধ করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে ইসরায়েলের ওপর চাপ জোরদার করার আহ্বান জানান।

পূর্ববর্তী নিবন্ধস্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে দেশে ফিরেছেন রাষ্ট্রপতি
পরবর্তী নিবন্ধফাইন্যান্স কোম্পানিতে স্বতন্ত্র পরিচালক নিয়োগে নতুন নীতিমালা