স্পোর্টস ডেস্ক : এ যেন কোনো ভিডিও গেমস গ্যালারিতে বসে বাস্তবে দেখলেন দর্শকরা। চার-ছক্কা ছাড়া যেন নেই কোনো কথা। প্রথম ব্যাট হাতে চড়াও হলো সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়ার পর হারানোর কিছু নেই, এমন মানসিকতা নিয়ে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের পাল্টা আঘাত।
তবে শেষ হাসি হায়দরাবাদের মুখে। বিধ্বংসী ব্যাটিং করে ২৭৭ রান তুলে প্যাট কামিন্সের দল ম্যাচ জিতে নেয় ২৩ রানে। হায়দরাবাদের দেখানো পথে হাঁটলেও গন্তব্যে যেতে পারেনি মুম্বাই; হার্দিক পান্ডিয়ার দল থেমেছে ২৪৬ রানে।
হায়দরাবাদের হয়ে শুরুটা করেন ট্রাভিস হেড (২৪ বলে ৬২) ও অভিষেক শর্মা (২৩ বলে ৬৩)। আর মুম্বাইয়ের বোলারদের মেরে শেষটা করেন দুই প্রোটিয়া ব্যাটার এইডেন মার্করাম (২৮ বলে ৪২) ও হেনরিখ ক্লাসেন (৩৪ বলে ৮০)।
রেকর্ড রানের জবাব দিতে আত্মঘাতী আঘাতের চিন্তা নিয়ে শুরু করেন রোহিত শর্মা (১২ বলে ২৬) ও ইশান কিশান (১৩ বলে ৩৪)। ঝোড়ো ইনিংস খেলে তিলক ভার্মা করেন ৩৪ বলে ৬৪। এছাড়া লড়াই করেন নামান দির (১৪ বলে ৩০), হার্দিক পান্ডিয়া (২০ বলে ২৪), টিম ডেভিড (২২ বলে ৪২)।
এই ম্যাচে মোট রান হয়েছে ৫২৩। যা ১৬ বছরের আইপিএলের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড। এর আগে ২০১০ সালে চেন্নাই সুপার কিংস ও রাজস্থান রয়্যালসের মধ্যকার ম্যাচে সর্বোচ্চ ৪৬৯ রান উঠার রেকর্ড ছিল।
শুধু আইপিএল নয়, টি-টোয়েন্টি কোনো ক্রিকেটেই এর আগে এত বেশি রানের রেকর্ড নেই। টি-২০ ক্রিকেটে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড ৫১৭। ২০২৩ সালে সেঞ্চুরিয়ানে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও দক্ষিণ আফ্রিকার মধ্যকার ম্যাচের এই রানই এখন পর্যন্ত আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ।
এই ম্যাচে রান সংগ্রহে আলাদা করেও রেকর্ড করেছে দুই দল। আইপিএলের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড করেছে হায়দরাবাদ। এর আগে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড ছিল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর, ২০১৩ সালে ২৬৩ রানের।
অপরদিকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে আইপিএলের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রান সংগ্রহ করেছে মুম্বাই। এর আগে দ্বিতীয় ইনিংসে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড ছিল রাজস্থান রয়্যালসের, ২০২০ সালে ২২৬ রানের।