জেনিথ লাইফের ব্যয় কমেছে, বেড়েছে লাইফ ফান্ড-বিনিয়োগ

নিজস্ব প্রতিবেদক: সর্বশেষ হিসাব সমাপনী বছর ২০২৩ সালে জেনিথ ইসলামী লাইফের ব্যবস্থাপনা খাতে ব্যয় কমেছে। অপরদিকে বেড়েছে কোম্পানিটির লাইফ ফান্ড ও বিনিয়োগের পরিমাণ। বছর শেষে কোম্পানিটির লাইফ ফান্ডে প্রবৃদ্ধি দাঁড়িয়েছে ১০২ শতাংশ, বিনিয়োগ বেড়েছে ১৫ শতাংশ। আর ব্যবস্থাপনা ব্যয় কমেছে ১৪ শতাংশ।

সমাপনী হিসাব পর্যালোচনা করে দেখা যায়, ২০২৩ সালে জেনিথ ইসলামী লাইফ মোট প্রিমিয়াম সংগ্রহ করেছে ৩০ কোটি ৩ লাখ টাকা। এই প্রিমিয়াম সংগ্রহে ব্যয় হয়েছে ১৬ কোটি ৯৩ লাখ টাকা। অর্থাৎ কোম্পানিটি ব্যবস্থাপনা খাতে ব্যয় করেছে মোট প্রিমিয়ামের ৫৬.৩৮ শতাংশ।

এর আগে ২০২২ সালে জেনিথ ইসলামী লাইফের মোট প্রিমিয়াম সংগ্রহ ছিল ৩০ কোটি ৩৪ লাখ টাকা। আর এই প্রিমিয়াম সংগ্রহে কোম্পানিটির ব্যয় হয়েছিল ২১ কোটি ৪৭ লাখ টাকা। অর্থাৎ সে বছর কোম্পানিটি মোট প্রিমিয়ামের ৭০.৭৬ শতাংশ ব্যয় করেছিল ব্যবস্থাপনা খাতে।

এই হিসাবে ২০২৩ সালে জেনিথ ইসলামী লাইফের ব্যবস্থাপনা ব্যয় কমেছে ১৪.৩৮ শতাংশ। তবে অনুমোদিত ব্যয়সীমার চেয়ে বেশি খরচ হয়েছে ২ কোটি ৫৫ লাখ টাকা।

২০২৩ সালে বীমা কোম্পানিটির সংগৃহীত মোট প্রিমিয়ামের মধ্যে প্রথম বর্ষ প্রিমিয়াম ১৪ কোটি ৬১ লাখ টাকা, দ্বিতীয় বর্ষ ৫ কোটি ৯২ লাখ টাকা এবং তৃতীয় ও তদুর্ধ্ব বর্ষের প্রিমিয়াম ৯ কোটি ৫০ লাখ টাকা।

এর মধ্যে প্রথম বর্ষ প্রিমিয়াম আয়ের দ্বিতীয় বর্ষ নবায়ন সংগ্রহের হার বেড়েছে ৬.৭৯ শতাংশ। অর্থাৎ প্রিমিয়াম তামাদির হার কমেছে।

ব্যবস্থাপনা ব্যয় কম হওয়ায় ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে কোম্পানিটির লাইফ ফান্ডে। সংগৃহীত প্রিমিয়াম ও বিনিয়োগ আয় থেকে বীমা দাবি পরিশোধ করার পর ২০২৩ সালে কোম্পানিটির লাইফ ফান্ডে নতুন তহবিল যুক্ত হয়েছে ৯ কোটি ৪৭ লাখ টাকা।

এর আগে ২০২২ সালে কোম্পানিটির সমাপনী তহবিল ছিল ৯ কোটি ২৭ লাখ টাকা। ফলে ২০২৩ সাল শেষে কোম্পানিটির মোট লাইফ ফান্ড দাঁড়িয়েছে ১৮ কোটি ৭৪ লাখ টাকা।

অর্থাৎ ২০২৩ সালে জেনিথ ইসলামী লাইফের লাইফ ফান্ড বেড়েছে ১০২ শতাংশ।

সর্বশেষ হিসাব সমাপনী বছরে জেনিথ ইসলামী লাইফের মোট বিনিয়োগ দাঁড়িয়েছে ৩২ কোটি ৫৪ লাখ টাকা। যা আগের বছর ২০২২ সালে ছিল ২৮ কোটি ২১ লাখ টাকা। অর্থাৎ ২০২৩ সালে বীমা কোম্পানিটির বিনিয়োগ বেড়েছে ৪ কোটি ৩৩ লাখ টাকা বা ১৫.৩৫ শতাংশ।

কোম্পানিটির মোট তহবিলের ওপর সরকারি খাতে বিনিয়োগ রয়েছে ৩৬.২৯ শতাংশ, যার পরিমাণ ৬ কোটি ৮০ লাখ টাকা।

এ বিষয়ে জেনিথ ইসলামী লাইফের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম নুরুজ্জামান বলেন, আমরা গ্রাহক স্বার্থকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছি। এ জন্য আমাদের কোন গ্রাহকের বীমা দাবি পেন্ডিং নেই। ব্যবস্থাপনা ব্যয়ের হারও কমিয়ে আনা হচ্ছে। আশা করছি চলতি বছরে আমাদের ব্যবস্থাপনা ব্যয় সীমার নিচে চলে আসবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধপ্রাথমিকে ২৫ ও মাধ্যমিকে ৫১ শতাংশ ব্যয় বেড়েছে
পরবর্তী নিবন্ধএক্সিম ব্যাংকের ৫ উপশাখা উদ্বোধন