নিউজ ডেস্ক : পবিত্র রমজান, ঈদুল ফিতর এবং তীব্র তাপপ্রবাহের এক সপ্তাহের ছুটি মিলিয়ে এক মাস ৩ দিন পর খুলেছে দেশের স্কুলগুলো। এমন এক সময় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলেছে যখন দেশের ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এরইমধ্যে অভিভাবকদের তীব্র আপত্তির মুখে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা বা বন্ধ নিয়ে নতুন তথ্য দিলেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী।
তিনি বলেছেন, তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি বা তার বেশি হলে সেসব অঞ্চলের স্কুল স্থানীয় প্রশাসন বন্ধ করতে পারবে। তাপমাত্রা সব জেলায় সমান নয়। তিনি উদাহরণ দিয়ে বলেন, চট্টগ্রামে তাপমাত্রা ৩৫-৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সেখানে স্কুল বন্ধ করার মত পরিস্থিতি হয়নি।
রোববার (২৮ এপ্রিল) সকালে আগারগাঁও ঢাকা মহিলা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা সপ্তাহের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন শিক্ষামন্ত্রী।
এর আগে জানুয়ারি মাসেও তীব্র শীতের কারণে প্রায় দশ জেলায় স্কুল বন্ধ ঘোষণা করা হয়। তবে যেখানে তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি ছিল সেখানে স্কুল খোলা ছিল। তীব্র গরমেও একই পদ্ধতিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি চালু করতে চায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, কিছু হলেই প্রথমেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করতে হবে, এ ধারণা রাখা চলবে না। আমাদের নতুন কারিকুলাম শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকেন্দ্রিক; তাই শিক্ষার্থীদের স্কুল-কলেজে আসা জরুরি। উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে অনলাইন ক্লাস করা যেতে পারে। মন্ত্রণালয়ের এতে কোনো সমস্যা নেই। কিন্তু মাধ্যমিক পর্যায়ে নতুন কারিকুলামের কারণে অনলাইন ক্লাস নেওয়া সম্ভব না।
তিনি বলেন, শনিবার স্কুল খোলা রাখার সিদ্ধান্ত গরমে শিক্ষার্থীদের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে করা হয়েছে। ক্ষতি কাটিয়ে উঠলে আবারও মন্ত্রণালয় এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, এর আগে জানুয়ারি মাসে তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির নিচে নামায় প্রায় ১০টি জেলার স্কুল বন্ধ ঘোষণা করা হয়। তবে জেলা, মহানগর ও বিভাগের তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির বেশি সেখানে স্বাভাবিক ক্লাস চলে।
তীব্র গরমের কারণে ঈদের ছুটির পর আরও এক সপ্তাহ ছুটি শেষে দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠদান শুরু হয়েছে রোববার (২৮ এপ্রিল) থেকে। সকাল থেকে প্রাথমিক, মাধ্যমিক, মাদ্রাসা ও কারিগরিসহ সব প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হয়েছে। তবে এ জন্য কিছু নির্দেশনা মানতে হচ্ছে প্রতিষ্ঠান ও শিক্ষার্থীদের। যদিও এ সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছে অভিভাবক ঐক্য ফোরাম।
রোববার (২৮ এপ্রিল) থেকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শ্রেণিকার্যক্রম চলবে। এক শিফটে পরিচালিত বিদ্যালয়সমূহ সকাল ৮টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত চলবে। দুই শিফটে পরিচালিত বিদ্যালয়ে প্রথম শিফট সকাল ৮টা থেকে সাড়ে ৯টা এবং দ্বিতীয় শিফট পৌনে ১০টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত চলবে।