নিউজ ডেস্ক : দেশে গত প্রায় তিন সপ্তাহ ধরে তীব্র তাপপ্রবাহ চলছে। এর মধ্যে গত ৩০ এপ্রিল যশোরে তাপমাত্রা ৪৩.৮ ডিগ্রি ছুঁয়েছিল। তবে বিভিন্ন অঞ্চলে বৃষ্টিপাত হওয়ায় গত দুই দিন ধরে কমছিল তাপমাত্রা। এ অবস্থায় অবশেষে ৪০ ডিগ্রির নিচে নেমেছে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।
আবহাওয়া অফিসের তথ্যানুযায়ী, আজ দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে রাজশাহীতে ৩৯.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা শুক্রবার যশোরে ছিল ৪১.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকায় আজ সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৬.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা গতকাল ছিল ৩৮.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
শনিবার (৪ মে) বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ খো. হাফিজুর রহমানের দেওয়া আবহাওয়া পূর্বাভাসে এ তথ্য জানা গেছে।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, আগামী ২৪ ঘণ্টায় সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।
সংস্থাটি জানায়, ঢাকা, রাজশাহী, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে। সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায়য় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
গত ২৪ ঘণ্টায় কুমিল্লায় সর্বোচ্চ ৩৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এছাড়া চট্টগ্রামে ২৭ মিলিমিটার, কক্সবাজারে ৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
এদিকে তাপপ্রবাহের অপর এক বিজ্ঞপ্তিতে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের ওপর দিয়ে চলমান মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ ৪ মে সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টা অব্যাহত থাকতে পারে। জলীয়বাম্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তিকর পরিস্থিতি অব্যাহত থাকতে পারে।
সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৬ থেকে ৩৭.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলে মৃদু তাপপ্রবাহ, ৩৮ থেকে ৩৯.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলে মাঝারি তাপপ্রবাহ, ৪০ থেকে ৪১.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলে তীব্র তাপপ্রবাহ এবং ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা তার বেশি হলে তাকে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বলে থাকে আবহাওয়া অধিদপ্তর।