দেশে অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকার কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

নিউজ ডেস্ক : দেশে এখন পর্যন্ত করোনার অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকার কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী অধ্যাপক ডা. সামন্ত লাল সেন।

বুধবার (৮ মে) রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে সার্বজনীন স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করণে টিকাদান কর্মসূচিকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে আয়োজিত এক সেমিনার শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ কথা জানান।

অ্যাস্ট্রাজেনেকার করোনা টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া বিষয়ক এক প্রশ্নের উত্তরে সামন্ত লাল সেন বলেন, আমাদের দেশে করোনার অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকার কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আমরা পাই নাই। এটা জানার পর আমি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে নির্দেশনা দিয়েছি। তারা সার্ভে করে আমাকে রিপোর্ট দেবে। আমি যতক্ষণ না জানবো এটার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কী, ততক্ষণ কিছুই বলতে পারবো না। তবে আমরা এই বিষয়ে সজাগ আছি।

অ্যাস্ট্রাজেনেকা তাদের টিকা উঠিয়ে নিতে বলছে। আমাদের দেশে কী ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ওরা বলছে, কিন্তু আমরা প্রমাণ না পেলে কিভাবে উঠিয়ে নেব?

ডেঙ্গু বিষয়ক এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ডেঙ্গু এমন একটা রোগ, ডেঙ্গুতে আমি আমার মাকে হারিয়েছি। আমি চাই না আর কারও মা যেন মারা যান। ডেঙ্গু শুধু স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কাজ নয়। আমরা যদি ডেঙ্গুর উৎস বন্ধ করতে না পারি, তাহলে নিয়ন্ত্রণ হবে না। ডেঙ্গুর চিকিৎসার সক্ষমতা আমাদের আছে। ডেঙ্গু চিকিৎসায় আমাদের চিকিৎসকরা অত্যান্ত দক্ষ। আমার অনুরোধ, জ্বর হলেই যেন পরীক্ষা করে সবাই ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করেন। দেরি করলেই ডেঙ্গুর জটিলতায় রোগী মারা যেতে পারে। আমি আশা করি এবার স্যালাইনের কোনো সংকট হবে না। আমি কোম্পানিগুলোকেও বলেছি স্যালাইনের দাম যেন না বাড়ে।

এর আগে সেমিনারে মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাতে উল্লেখযোগ্য অর্জন হয়েছে। বিশেষ করে মাতৃমৃত্যু, শিশু মৃত্যু এবং টিকাদান কার্যক্রমে দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে সব চেয়ে ভালো অবস্থানে আছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতিটা শিশুর জন্য টিকা প্রাপ্তিতে অঙ্গীকারাবদ্ধ। টিকা দানের সফলতায় প্রধানমন্ত্রীকে ভ্যাক্সিন হিরো উপাধি দেওয়া হয়েছে। সকলের সম্মিলিত কার্যক্রমে টিকা দান কর্মসূচি অনন্য সফলতার গল্প হয়ে উঠেছে।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পার্লামেন্টারি ফোরাম ফর হেলথ অ্যান্ড ওয়েলবিং- এর সভাপতি সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডা. আব্দুল আজিজ।

সভায় অতিথি হিসেবে যেসব সংসদ সদস্য উপস্থিত ছিলেন তারা হলেন, ডা. সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারী, ড. নাদিয়া বিনতে আমিন, ফরিদা ইয়াসমিন, অণিমা মুক্তি গোমেজ, কানন আরা বেগম, জ্বরতি তঞ্চঙ্গ্যা এবং ইউনিসেফ বাংলাদেশ চিফ অব হেলথ মায়া ভানডেনেট, বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার বাংলাদেশ প্রতিনিধি ডা. বার্ডান জাং রানা, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত ডিজি আহমেদুল কবীর প্রমুখ।

পূর্ববর্তী নিবন্ধচতুর্থ মেয়াদে পিআইবির ডিজি হলেন জাফর ওয়াজেদ
পরবর্তী নিবন্ধধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানে এমন কাজ করবেন না: প্রধানমন্ত্রী