নিউজ ডেস্ক : এক কার্যদিবস কিছুটা ঊর্ধ্বমুখী থাকার পর দেশের শেয়ারবাজারে ফের দরপতন হয়েছে। মঙ্গলবার (২৮ মে) প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং অন্য শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমার পাশাপাশি সবকটি মূল্যসূচকও কমেছে। সেই সঙ্গে ডিএসইতে কমেছে লেনদেনের পরিমাণও।
এর আগে টানা ১০ কার্যদিবস দরপতন হওয়ার পর সোমবার (২৭ মে) দেশের শেয়ারবাজারে ঊর্ধ্বমুখীর দেখা মেলে। বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার পাশাপাশি বাড়ে সবকটি মূল্যসূচক। সেই সঙ্গে বাড়ে লেনদেনের পরিমাণ।
এ পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হয় বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার মাধ্যমে। ফলে লেনদেনের শুরুতেই সূচকের ঊর্ধ্বমুখিতার দেখা মেলে। বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ায় লেনদেনের ১৭ মিনিটের মাথায় ডিএসইর প্রধান সূচক ৬০ পয়েন্ট বেড়ে যায়।
লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টা বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের দাম বাড়ার ধারা অব্যাহত থাকে। কিন্তু দুপুর ১২টার পর হঠাৎ করেই এক শ্রেণির বিনিয়োগকারীরা বাজারে মাত্রাতিরিক্ত বিক্রির চাপ বাড়ায়। এতে দাম বাড়ার তালিকা থেকে একের পর এক প্রতিষ্ঠান দাম কমার তালিকায় চলে আসে। ফলে একদিকে দাম কমার তালিকা বড় হয়, অন্যদিকে সবকটি সূচক কমে দিনের লেনদেন শেষ হয়।
দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে ৯২টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট। বিপরীতে দাম কমেছে ২৬৫টি প্রতিষ্ঠানের। আর ৩৭টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
ফলে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স ৩১ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ২৭৮ পয়েন্টে নেমে গেছে। অন্য দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক আগের দিনের তুলনায় ৭ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ১৫২ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। আর বাছাই করা ভালো ৩০টি কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক আগের দিনের তুলনায় ১৩ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৮৮৬ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
সবকটি মূল্যসূচক কমার পাশাপাশি ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণও কমেছে। দিনভর বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৪৪০ কোটি ৭২ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ৫০৬ কোটি ১১ লাখ টাকা। সে হিসেবে লেনদেন কমেছে ৬৫ কোটি ৩৯ লাখ টাকা।
টাকার অঙ্কে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে আইএফআইসি ব্যাংকের শেয়ার। কোম্পানিটির ২১ কোটি ৩৯ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছ। দ্বিতীয় স্থানে থাকা ই-জেনারেশনের ১৯ কোটি ২০ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ১৫ কোটি ১২ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে রিলায়েন্স ওয়ান দ্যা ফার্স্ট স্কিম অব রিলায়েন্স ইন্স্যুরেন্স মিউচুয়াল ফান্ড।
এছাড়া ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ দশ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজ, ওরিয়ন ফার্মা, এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজ, বিচ হ্যাচারি, ওরিয়ন ইনফিউশন, লাভেলো আইসক্রিম এবং ব্রিটিশ আমেরিকান টোবাকো।
অন্য শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই কমেছে ৭২ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ২৪৩টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৭৯টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১৩৩টির এবং ৩১টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। লেনদেন হয়েছে ১৭০ কোটি ৪ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয় ৭৫ কোটি ৪৬ লাখ টাকা।