নিউজ ডেস্ক : দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) বেশ কিছুদিন ধরেই লেনদেন খরা। এর মধ্যেই মঙ্গলবার কিছুটা বাড়ে লেনদেনের পরিমাণ। তবে এ ধারা স্থায়ী হয়ানি। আজ বুধবার আবারও তিনশ কোটি টাকার ঘরে চলে এসেছে ডিএসইর লেনদেন। একই সঙ্গে দাম কমার তালিকায় নাম লিখিয়েছে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট। ফলে মূল্যসূচকেরও পতন হয়েছে।
ডিএসইর পাশাপাশি অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) দাম কমার তালিকায় নাম লিখিয়েছে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠান। ফলে সিএসইতেও কমেছে মূল্যসূচক। তবে বেড়েছে লেনদেনের পরিমাণ।
এর আগে অব্যাহত দরপতনের সঙ্গে দেশের শেয়ারবাজারে লেনদেন খরা দেখা দেয়। এতে ডিএসইতে লেনদেন কমে তিনশ কোটি টাকার ঘরে চলে আসে। তবে পাঁচ কার্যদিবস পর গতকাল মঙ্গলবার ডিএসইতে পাঁচশ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়। এখন আবার তা কমে তিনশ কোটি টাকার ঘরে চলে আসলো।
বুধবার (৫ জুন) শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হয় বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমার মাধ্যমে। এতে লেনদেনের শুরুতেই ডিএসইতে সূচকের পতন হয়। লেনদেনের শুরুতে দেখা দেওয়া এ ঋণাত্মক প্রবণতা লেনদনের প্রায় পুরো সময়জুড়ে অব্যাহত থাকে। মাঝে কিছুটা সময় সূচক ঊর্ধ্বমুখী হলেও তা খুব বেশি সময় স্থায়ী হয়নি।
বরং লেনদেনের শেষদিকে পতনের মাত্রা বেড়ে যায়। ফলে দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে দাম বাড়ার তুলনায় দাম কমার তালিকায় স্থান করে নেয় প্রায় তিনগুণ বেশি প্রতিষ্ঠান। দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে ৯৮ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট। বিপরীতে দাম কমেছে ২৪৭ প্রতিষ্ঠানের। এছাড়া ৫২টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
এতে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স ২৩ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ২২৪ পয়েন্টে নেমে গেছে। অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ সূচক আগের দিনের তুলনায় ৭ পয়েন্ট কমে এক হাজার ১৩৫ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। তবে বাছাই করা ভালো ৩০ কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক আগের দিনের তুলনায় এক পয়েন্ট বেড়ে এক হাজার ৮৫৪ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
দিনভর বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৩৮১ কোটি ৩৪ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ৫৯৩ কোটি ৩ লাখ টাকা। সে হিসাবে লেনদেন কমেছে ২১১ কোটি ৬৯ লাখ টাকা।
টাকার অঙ্কে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে লাভেলো আইসক্রিমের শেয়ার। কোম্পানিটির ২১ কোটি ৪৭ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা বিচ হ্যাচারির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১৭ কোটি ২৮ লাখ টাকার। ১১ কোটি ৬৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ফরচুন সুজ।
এছাড়া ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ দশ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজ, রূপালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স, এমারেল্ড অয়েল, ওরিয়ন ইনফিউশন, রিলায়েন্স ওয়ান দ্যা ফার্স্ট স্কিম অব রিলায়েন্স ইন্স্যুরেন্স মিউচুয়াল ফান্ড, ই-জেনারেশন এবং সি পার্ল বিচ রিসোর্ট।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই কমেছে ২৮ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ২২৯ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৬১টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১৩৯টির এবং ২৯টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। লেনদেন হয়েছে ১৫৯ কোটি ৬৫ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ৯৩ কোটি ৭৫ লাখ টাকা।