নিউজ ডেস্ক : বাংলাদেশে নারী-পুরুষ বৈষম্য আরও প্রকট হয়েছে। এর ফলে বৈশ্বিক লিঙ্গ সমতা সূচকে বড় ধরনের পতন ঘটেছে।
বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের (ডব্লিউইএফ) প্রকাশিত বার্ষিক সূচকে দেখা গেছে, গত বছরের তুলনায় ৪০ ধাপ নেমে গিয়ে ১৪৬টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ এবার ৯৯তম।
২০২৩ সালের সূচকে ১২ ধাপ এগিয়ে ৫৯তম অবস্থানে উঠে এসেছিল বাংলাদেশ, তার আগের বছর ছিল ৭১ নম্বরে।
অর্থনীতিতে অংশগ্রহণ, শিক্ষার সুযোগ, স্বাস্থ্য সেবাপ্রাপ্তি ও রাজনৈতিক ক্ষমতায়নের ক্ষেত্রে নারী-পুরুষে যে বৈষম্য, তার ভিত্তিতেই বৈশ্বিক লিঙ্গ সমতা সূচক তৈরি করে বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরাম।
তবে দক্ষিণ এশিয়ার সাত দেশের মধ্যে বাংলাদেশ এখনও সবার ওপরে। এবার দক্ষিণ এশিয়ার অন্য দেশগুলোর অবস্থা- নেপাল ১১৭, শ্রীলঙ্কা ১২২, ভুটান ১২৪, ভারত ১২৯, মালদ্বীপ ১৩২ ও পাকিস্তান ১৪৫ নম্বরে।
বুধবার ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম (ডব্লিউইএফ) ২০২৪ সালের ‘গ্লোবাল জেন্ডার গ্যাপ’ প্রতিবেদন প্রকাশ করে। সেখানে ১৪৬টি দেশের তুলনামূলক চিত্র তুলে ধরা হয়। ২০০৬ সাল থেকে ডব্লিউইএফ এ সূচক প্রকাশ করে আসছে।
লিঙ্গ বৈষম্য সূচকে টানা ১৫ বছর শীর্ষে রয়েছে আইসল্যান্ড। শীর্ষ দশের অন্য নয়টি দেশ হলো- ফিনল্যান্ড, নরওয়ে, নিউ জিল্যান্ড, সুইডেন, নিকারাগুয়া, জার্মানি, নামিবিয়া, আয়ারল্যান্ড ও স্পেন।
সূচকে সবার নিচে ১৪৬তম অবস্থানে রয়েছে সুদান। আর ১৪৫ নম্বরে পাকিস্তান।
এবারের সূচকে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় পতন হয়েছে অর্থনীতিতে নারীর অংশগ্রহণ ও সুযোগ সৃষ্টির দিক থেকে। শিক্ষাক্ষেত্রেও বৈষম্য বেড়েছে। স্বাস্থ্য সেবায় বৈষম্য আরও বেড়েছে। কর্মক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণ গত পাঁচ বছর ধরে টানা কমেছে। শ্রমঘন কাজেও নারীর অংশগ্রহণ কমেছে। ছয় বছর আগের তুলনায় নারী-পুরুষের আয় বৈষম্য বেড়ে হয়েছে পাঁচ গুণ। কর্মক্ষেত্রে জ্যেষ্ঠ পদে নারীর অনুপাত কমেছে।