নিউজ ডেস্ক :
ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ায় লেবার পার্টির নেতা কিয়ার স্টারমারকে অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শুক্রবার (৫ জুলাই) নবনির্বাচিত ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানিয়ে চিঠি পাঠিয়েছেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং সূত্রে জানা গেছে, চিঠিতে কিয়ার স্টারমারকে অভিনন্দন জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আপনার যোগ্য নেতৃত্বে লেবার সরকারের সঙ্গে আমাদের দুই কমনওয়েলথ দেশের পারস্পরিক স্বার্থের আলোকে দীর্ঘ রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, জলবায়ু এবং কৌশলগত অংশীদারত্বকে আরও শক্তিশালী করার প্রতীক্ষায় আছে আমার সরকার।’
যুক্তরাজ্যে সাধারণ নির্বাচনে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে দীর্ঘদিন পর ক্ষমতায় ফিরেছে মধ্য-বামপন্থী লেবার পার্টি। টানা ১৪ বছর ক্ষমতায় থাকা কনজারভেটিভ পার্টির ভরাডুবি হয়েছে। পরাজয় মেনে নিয়েছেন সদ্য বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক।
পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ হাউস অব কমন্সের ৬৫০টি আসনের মধ্যে সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজন অন্তত ৩২৬টি। সেখানে লেবার পার্টি পেয়েছে ৪১২টি। কনজারভেটিভ পার্টি পেয়েছে ১২১টি।
কিয়ার স্টারমারের নেতৃত্বে লেবার পার্টির ‘ঐতিহাসিক বিজয়ের’ কথা তুলে ধরে চিঠিতে শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘এই দ্ব্যর্থহীন ম্যান্ডেট আপনাদের দেশকে অগ্রগতি ও সমৃদ্ধির নতুন উচ্চতায় নিতে এবং বিশ্বব্যাপী শান্তির প্রসারে আপনার নেতৃত্বের প্রতি ব্রিটিশ জনগণের বিশ্বাস ও আস্থার বিষয়টি সুস্পষ্টভাবে প্রকাশ করছে।’
একইসঙ্গে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে লেবার পার্টি এবং এ দলের প্রবাদপ্রতীম নেতা স্যার হ্যারল্ড উইলসন, টমাস উইলিয়ামস এবং লর্ড পিটার শোরের সঙ্গে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও আওয়ামী লীগের বন্ধুত্বের কথাও স্মরণ করেন শেখ হাসিনা।
আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা বলেন, সেই সম্পর্কের সূত্র ধরে গণতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা এবং সামগ্রিক ও প্রগতিশীল আকাঙ্ক্ষার ভিত্তিতে দুই দেশের সম্পর্ক গড়ে উঠেছে।
অংশীদারত্বের পাশাপাশি দুই দেশের কল্যাণে বাংলাদেশ-বংশোদ্ভূত ব্রিটিশদের কাজে লাগানোর ইচ্ছার কথা তুলে ধরে চিঠিতে তিনি বলেন, ‘সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে, আমাদের দুই দেশের সর্বজনীন কল্যাণের জন্য ৭ লাখের বেশি প্রাণবন্ত ও উদ্যোগী ব্রিটিশ-বাংলাদেশির অমূল্য অবদানকে কাজে লাগানো অব্যাহত রাখতে চাই।’