কোটা আদালতে বিচারাধীন, সরকার সিদ্ধান্ত নিতে পারে না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

নিউজ ডেস্ক : কোটা আদালতের বিচারাধীন বিষয়। সে কারণে এর ওপর সরকার কোনো সিদ্ধান্ত দিতে পারে না বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।

মন্ত্রী বলেন, এ বিষয়ে কোনো পক্ষ কোনো সিদ্ধান্ত নিলে আদালত অবমাননা হবে।

রোববার (১৪ জুলাই) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বিমসটেক সফর নিয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, বিমসটেকের পরবর্তী চেয়ার হিসেবে দায়িত্ব নেবে বাংলাদেশ। চিকিৎসা বিজ্ঞান, জলবায়ু পরিবর্তন, জ্বালানি নিরাপত্তা, নেপাল ও ভুটান থেকে বিদ্যুৎ আমদানি নিয়ে কথা হয়েছে রিট্রিটে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মিয়ানমার রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু করতে চায় কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবার পর। তাদের বাণিজ্যিক লেনদেনের স্বার্থও আছে, সেটাও তারা গুরুত্ব দিয়েছে। এ ছাড়া ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনায় পচনশীল পণ্য আমদানিতে বাংলাদেশের জন্য কোটা দেয়ার বিষয়টি এসেছে।

চলমান কোটা আন্দোলন নিয়ে জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, কোটার বিষয়টি আদালতের মাধ্যমে এসেছে। সরকার শিক্ষার্থীদের ওপর সহানুভূতিশীল হয়ে পুরো কোটা বাতিল করে দিয়েছিল। কোটা পদ্ধতি বাতিল করার পর, কোটাবিহীনভাবেই চাকরিতে অন্তর্ভুক্তি হচ্ছিল। সরকার সেটিকে পুনর্বহাল করেনি, বা সে ব্যাপারে সরকারের কোনো উদ্যোগও ছিল না। কিন্তু হাইকোর্ট রায় দিয়েছিল সেটিকে পুনর্বহাল করতে হবে। আবার সেটিকে স্থগিত করা হয়েছে। বিষয়টি আদালতে বিচারাধীন। যেহেতু আদালতের কারণে বিষয়টি সামনে এসেছে সমাধান আদালতের মাধ্যমেই হতে হবে। আদালতের একটি বিচারাধীন বিষয়ের ওপর সরকার কোনো সিদ্ধান্ত দিতে পারে না। তাহলে আদালত অবমাননা হবে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এখন যে আন্দোলন হচ্ছে সেটির কোনো যৌক্তিকতা আছে বলে মনে করি না। এটি আসলে আদালতের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলিও বটে। সরকার সবসময় ছাত্র-ছাত্রীদের প্রতি সহানুভূতিশীল ছিল। সে কারণে কোটা পদ্ধতি বাতিল করেছিল। তবে বাতিল করার পরিপ্রেক্ষিতে অনেক সমস্যাও দেখা দিয়েছে। যেমন অনেক জেলা থেকে সরকারি চাকরিতে অনেক ক্যাডারে কেউ সুযোগ পাচ্ছে না। মেয়েদের অংশগ্রহণ কমে গেছে। এসব সমস্যা দেখা দিয়েছে, সরকার কিন্তু কোটা পদ্ধতি বাতিল করেছিল।

এক প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী বলেন, বিএনপি তো সবসময় চায়… নিজেদের তো কিছু করার ক্ষমতা নেই, তারা অপরের ঘাড়ে চেপে কোনো সময় কোটার ওপর ভর করে, কোনো সময় তেল-গ্যাসের ওপর ভর করে, কোনো সময় আবার অন্য কিছুর ওপর ভর করে। বিএনপি এখান থেকে সুযোগ নেওয়ার চেষ্টা করছে। সুপ্রিম কোর্টের সাম্প্রতিক সিদ্ধান্তের পর সুপ্রিম কোর্ট স্থিতাবস্থা বজায় রাখার জন্য আদেশ দিয়েছে। অর্থাৎ কোটা যে বাতিল সরকার করেছে সেটিই বহাল রেখেছে সুপ্রিম কোর্ট। এরপরও যখন আন্দোলন হয় বুঝতে হবে এটির সঙ্গে রাজনীতি যুক্ত হয়েছে।

এর আগে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে ঢাকায় নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি বিদায়ী সাক্ষাৎ করেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধআবাসন এবং হসপিটালিটি খাতে বিনিয়োগে আগ্রহী চীন : প্রধানমন্ত্রী
পরবর্তী নিবন্ধ৪ প্যাকেজে দুই বিলিয়ন ডলার দেবে চীন: প্রধানমন্ত্রী