পটুয়াখালী: কোটা সংস্কার আন্দোলনের নামে দেশব্যাপী নৈরাজ্য ও অগ্নিসন্ত্রাস মোকাবেলায় কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করায় স্বাভাবিক রয়েছে পায়রা বন্দরের সব কার্যক্রম ও উন্নয়ন কাজ।
মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) দুপুরে পায়রা বন্দর চেয়ারম্যান রিয়াল অ্যাডমিরাল আব্দুল্লাহ আল-মামুন চৌধুরী এতথ্য জানান।
তিনি জানান, সড়ক কিংবা নৌপথ পায়রা বন্দরের সর্বত্রই জোরদার করা হয়েছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা। আনসার ভিডিপি, কোস্টগার্ড ও নৌ বাহিনী মোতায়েন করে দিন-রাত নিয়মিত টহল দেওয়া হচ্ছে। পাঁচ শতাধিক শ্রমিক নিয়ে চলমান রয়েছে প্রথম জেটির অসমাপ্ত কাজ। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের পথে এগিয়ে চলছে পায়রা সমুদ্র বন্দর।
পায়রা বন্দর চেয়ারম্যান জানান, এখনও বহিঃ নোঙ্গরে অবস্থান করছে দুটি মাদার ভেসেল। লাইটারেজের মাধ্যমে এসব জাহাজ থেকে পণ্য খালাস কার্যক্রম সচল রয়েছে। কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে আমদানিকৃত পণ্য আমদানিকারকদের কাছে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। উন্নয়ন কাজ যাতে বাধাগ্রস্ত না হয় তাই শ্রমিকদের পরিচয় পত্রকে কারফিউ পাশ হিসেবে বিবেচনার জন্য প্রশাসনকে অনুরোধ করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, চলতি মাসে আটটি পণ্যবাহী মাদার ভেসেল পায়রা বন্দরে নোঙর করেছে। এর মাধ্যমে বন্দরের উপার্জনসহ প্রায় ৫০ কোটি টাকা রাজস্ব অর্জন করছে সরকার। ২০১৬ সাল থেকে এ পর্যন্ত ২৮১৯টি জাহাজের খালাসের মাধ্যমে আয় হয়েছে ১৩শ সাত কোটি ৬৫ লাখ টাকারও বেশি।