নিউজ ডেস্ক :
দুর্নীতি ও করোনা সার্টিফিকেট জালিয়াতির ঘটনাসহ ৯৬ মামলার আসামি রিজেন্ট হাসপাতাল লিমিটেডের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহেদ জামিন পেয়ে কারাগার থেকে বের হয়েছেন। বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) রাতে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে বের হন তিনি।
ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে আটক সাহেদের বিরুদ্ধে মোট ৯৬টি মামলা ছিল। এর মধ্যে পাঁচটি মামলায় তিনি সাজাপ্রাপ্ত আসামি। সবকটি মামলাতেই জামিন পাওয়ায় তাকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।
আরও জানা যায়, বুধবার সর্বশেষ উত্তরা পশ্চিম থানার একটি অস্ত্র মামলায় সাহেদ জামিন পান। আদেশের কপি কারাগারে এলে তা যাচাই-বাছাই শেষে সব গোয়েন্দা সংস্থার অনাপত্তি পাওয়ার পর তাকে কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়।
২০২০ সালের ১৫ জুলাই সাহেদকে সাতক্ষীরা থেকে গ্রেফতার করে র্যাব। এরপর তার নামে প্রতারণা, অনিয়মের নানা অভিযোগ সামনে আসতে থাকে। পরে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সাহেদ ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে একের পর এক মামলা হয়।
কারাগারে থাকাকালে ২০২০ সালের ৫ নভেম্বর সম্পদের হিসাব চেয়ে সাহেদকে নোটিশ পাঠায় দুদক। নোটিশে ২১ কার্যদিবসের মধ্যে তাকে সম্পদের বিবরণী জমা দিতে বলা হয়। বেধে দেয়া সময়ের মধ্যে তিনি সম্পদ বিবরণী জমা না দেওয়ায় অতিরিক্ত আরও ১৫ কার্যদিবস সময় দেয়া হয়। সাহেদের পরও তা জমা দেননি।
এরপর সম্পদের হিসাব না দেয়া ও অবৈধভাবে এক কোটি ৬৯ লাখ টাকার সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০২১ সালের ১ মার্চ দুদকের উপপরিচালক ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারী বাদী হয়ে দুদকের ঢাকা জেলা সমন্বিত কার্যালয়-১ এ মামলা করেন।
গত বছরের ২ ফেব্রুয়ারি দুদক আদালতে চার্জশিট জমা দেয়। এর পর গত বছরের ১৭ জুলাই সাহেদের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। মামলার বিচার চলাকালে আদালত ১০ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়।
সাহেদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগে বেশ কয়েকটি মামলা হয়। এর মধ্যে অস্ত্র আইনের একটি মামলায় ২০২০ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় দেন একটি আদালত।