সোলারটেকের সঙ্গে গ্রিন ক্রেডিটের চুক্তি ওয়ালটনের

সংবাদ বিজ্ঞপ্তি

গাজীপুরের চন্দ্রায় ওয়ালটন হাই-টেক পার্কে ৫.৫ মেগাওয়াট সোলার এনার্জি ব্যবহার করা হচ্ছে। নতুন ইন্সটল করা হয়েছে ৩.৪ মেগাওয়াটের সোলার প্যানেল, যার লক্ষ্য কার্বন নিঃসরণ হ্রাস করা। পরিবেশ রক্ষায় গ্রিন এনার্জি ব্যবহারের ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও যারা ব্যবহার করতে পারছে না, তাদেরকে সহযোগিতা করতে চায় ওয়ালটন।

সে লক্ষ্যে গত ২ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ তারিখে ওয়ালটন কর্পোরেট অফিসে সোলারটেক ইঞ্জিনিয়ারিং সল্যুশনের সঙ্গে ৫ বছর মেয়াদি ‘গ্রিন ক্রেডিট’-এর চুক্তি স্বাক্ষর করেছে ওয়ালটন। চুক্তিতে নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে স্বাক্ষর করেন ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি’র ম্যানেজিং ডিরেক্টর এস এম মাহবুবুল আলম এবং সোলারটেক ইঞ্জিনিয়ারিং সল্যুশনের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর মোহাম্মদ মোর্শেদ হাইদার।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি’র ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর মো. ইউসুফ আলী, চিফ ফিন্যান্সিয়াল অফিসার মো. জিয়াউল আলম, ম্যানেজিং ডিরেক্টরের বিজনেজ কো-অর্ডিনেটর প্রতীক কুমার মোদক, এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর মো. নাজমুল ইসলাম প্রমুখ।

চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি’র ম্যানেজিং ডিরেক্টর এস এম মাহবুবুল আলম

অনুষ্ঠানে ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি’র ম্যানেজিং ডিরেক্টর এস এম মাহবুবুল আলম বলেন, গ্রিন ক্রেডিটের মাধ্যমে পরিবেশ রক্ষায় আমাদের যে অঙ্গীকার রয়েছে, সেই লক্ষ্যে আরেক ধাপ এগিয়ে গেলো ওয়ালটন। এর মাধ্যমে পরিবেশগতভাবে দায়িত্বশীল আচরণ, বিনিয়োগকে উৎসাহিত করা এবং সমর্থন করা হচ্ছে, যা আরও টেকসই অর্থনীতির দিকে রূপান্তরিত করতে সহায়তা করবে। কীভাবে গ্রিন ক্রেডিট প্রোগ্রাম ব্যবহার করে পরিবেশ রক্ষায় ইতিবাচক ভূমিকা রাখা যায় এবং জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত হওয়া যায়, সেজন্য আমরা গ্রিন ক্রেডিট ফ্রেমওয়ার্ক তৈরি করে আগে থেকেই এ বিষয়ে কাজ করছি।

ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি’র ডিএমডি মোহাম্মদ ইউসুফ আলী বলেন, ওয়ালটন নিজস্ব উদ্যোগে নবায়নযোগ্য এনার্জি সেক্টরে যথেষ্ট ফোকাস করছে।

তিনি আরও বলেন, সম্ভাব্যতা এবং প্রতিবন্ধকতা, উভয় বিষয়ে আলোচনা করে নবায়নযোগ্য শক্তি প্রকল্প সম্প্রসারণ করতে হবে। একটি সফল সোলার হোম সিস্টেমের বিভিন্ন দিক বিশ্লেষণ করে পুনঃনবায়নযোগ্য শক্তি প্রকল্পের ঝুঁকি এবং সম্ভাবনা বোঝার জন্য কাজ করে যেতে হবে। তাই, সরকারিভাবে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সক্ষমতা বৃদ্ধি, বন্ড এবং ইক্যুইটি বাজারের উন্নয়ন, একটি সুসমন্বিত নীতি তদারকি সংস্থা প্রতিষ্ঠা এবং সবুজ অর্থায়নের মূলধারায় পরিণত করা প্রয়োজন, যা বাংলাদেশের সবুজ অর্থায়নের প্রচার এবং টেকসই উন্নয়ন অর্জনের জন্য দরকার।

অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি’র এনভায়রনমেন্ট হেলথ অ্যান্ড সেফটি বিভাগের প্রধান মো. মোস্তাফিজুর রহমান রাজু।

ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজের ম্যানেজিং ডিরেক্টর এস এম মাহবুবুল আলম এবং সোলারটেক ইঞ্জিনিয়ারিং সল্যুশনের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর মোহাম্মদ মোর্শেদ হাইদার

উল্লেখ্য, ওয়ালটন সব সময় পরিবেশবান্ধব উপায়ে পণ্য উৎপাদন করে সুনামের সঙ্গে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে। প্যারিস অ্যাকর্ড থেকে ২০৫০ সালের মধ্যে কার্বন নিঃসরণের হার শূন্যে নামিয়ে আনার যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে, তা অর্জনের জন্য ওয়ালটন স্বল্প এবং দীর্ঘ মেয়াদি সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে।

GHG নিঃসরণ কমানোর জন্য ওয়ালটন এনার্জি ইফিসিয়েন্ট টেকনোলজি ব্যবহার করে থাকে। এছাড়া, বায়োগ্যাস প্ল্যান্ট, ইনসিনারেশন বয়লার, ই-ভেহিক্যাল, ট্রি প্ল্যান্টেশন, ওয়াটার রিইউজ, CFC ফ্রি রেফ্রিজারেন্ট, EGB বয়লার, প্লাস্টিক এবং মেটাল শতভাগ রিসাইকেল, রেইন ওয়াটার হার্ভেস্টিংসহ আরও অনেক কাজ করছে ওয়ালটন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধরূপালী ব্যাংক পিএলসির ব্যবসায়িক সম্মেলন অনুষ্ঠিত
পরবর্তী নিবন্ধরূপালী ব্যাংকের রাজশাহী বিভাগীয় ব্যবসায়িক সম্মেলন অনুষ্ঠিত