নিউজ ডেস্ক:
শিক্ষা ক্ষেত্রে বর্তমান সরকারের উদ্যোগসমূহকে বাস্তবসম্মত বলে মনে করেন ইউনিসেফ, ইউনেস্কো ও ইউএনএফপিএ-র প্রতিনিধিরা। তারা শিক্ষাখাতে যে কোন ধরনের সহায়তা করতে প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন। একই সঙ্গে সরকারের শিক্ষানীতি ২০১০ হালনাগাদ করারও তাগিদ দিয়েছেন তারা।
রোববার ( ৮ সেপ্টেম্বর) তিন সংস্থার প্রতিনিধিরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পরিকল্পনা ও শিক্ষা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদের সঙ্গে বৈঠকে এই প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন। রাজধানীর শেরে বাংলানগরে পরিকল্পনা উপদেষ্টার দফতরে সভাটি অনুষ্ঠিত হয় বলে সরকারের পক্ষ থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে জাতিসংঘের অন্তবর্তীকালীন আবাসিক সমন্বয়ক এবং বাংলাদেশে ইউএনএফপি-এর এজেন্সি প্রধান ক্রিস্টিন ব্লখুস (Kristine Blokhus), বাংলাদেশে ইউনেস্কোর প্রতিনিধি সুসান ভাইজ (susan Vize) এবং বাংলাদেশে ইউনিসেফের ডেপুটি প্রতিনিধি এমা ব্রিগহাম (Emma Brigham) উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিনিধিবৃন্দ শিক্ষাক্ষেত্রে বর্তমান সরকারের উদ্যোগসমূহকে বাস্তবসম্মত বলে মনে করেন এবং তারা শিক্ষাখাতে যে কোন ধরনের সহায়তা করতে প্রস্তুত বলে শিক্ষা উপদেষ্টাকে জানান। তারা শিক্ষা ক্ষেত্রে সংস্কারের উপর জোর দেন। বিশেষত শিক্ষানীতি ২০১০ হালনাগাদ করা দরকার বলে মতামত দেন।
বিজ্ঞাপন
পরিকল্পনা ও শিক্ষা উপদেষ্টা প্রতিনিধিদলকে বলেন, ‘আমরা মানসম্মত শিক্ষার উপর জোর দিচ্ছি। এ ব্যাপারে জাতিসংঘ এবং এর বিশেষায়িত সংস্থাসমূহের সবরকমের সহযোগিতাকে স্বাগত জানাই।’
এছাড়া, জাপানের আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থার (জাইকা) একটি প্রতিনিধি দল পরিকল্পনা উপদেষ্টার সঙ্গে পৃথক বৈঠক করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি জাপানের সহায়তা অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বলেও উপদেষ্টার জনসংযোগ কর্মকর্তার পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
বাংলাদেশে জাইকার প্রধান প্রতিনিধি ইচিগুছি তমুহিদে (Ichiguchi Tomohide) এর নেতৃত্বে প্রতিনিধিদলে ছিলেন ঊর্ধতন প্রতিনিধি কমরি তাকাশি (Komori Takashi) এবং ঊর্ধ্বতন প্রতিনিধি ইয়ামাদা ইজি (Yamada Eiji)।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, জাইকা প্রতিনিধিদল বর্তমান অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রতি তাদের সমর্থনের কথা জানান এবং বাংলাদেশে তাদের উন্নয়ন কার্যক্রম সর্ম্পকে পরিকল্পনা উপদেষ্টাকে অবহিত করেন।
পরিকল্পনা উপদেষ্টা জাইকা প্রতিনিধিবৃন্দকে ধন্যবাদ জানান এবং অতীতের মতো আগামী দিনগুলোতেও জাপান বাংলাদেশের বৃহত্তম উন্নয়ন অংশীদার হিসেবে পাশে থাকবে বলে আশা প্রকাশ করেন।