নিউজ ডেস্ক:
দেশের শেয়ারবাজারে দরপতনের ধারা থামছেই না। ক্ষমতার পালাবদল হলেও বিনিয়োগকারীদের ভাগ্যের চাকা ঘোরেনি। বরং প্রতিনিয়ত বিনিয়োগকারীদের লোকসানের পরিমাণ বাড়ছে। সেই সঙ্গে হতাশা বাড়ছে বিনিয়োগকারীদের।
গত কয়েক কার্যদিবসের মতো সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবস সোমবারও (৯ সেপ্টেম্বর) প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমেছে। ফলে কমেছে মূল্য সূচক। সেই সঙ্গে কমেছে লেনদেনের পরিমাণ।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) দাম কমার তালিকায় স্থান করে নিয়েছে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট। ফলে এ বাজারটিতেও মূল্য সূচক কমেছে। সেই সঙ্গে কমেছে লেনদেনের পরিমাণ। এর মাধ্যমে টানা ছয় কার্যদিবস পতনের মধ্যে থাকলো শেয়ারবাজার।
এদিন শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হয় বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমার মাধ্যমে। ফলে লেনদেনের শুরুতে সূচক ঋণাত্মক হয়ে পড়ে। মাঝে কিছু সময়ের জন্য সূচক ঊর্ধ্বমুখী হলেও তা বেশি সময় স্থায়ী হয়নি। বরং লেনদেনের শেষদিকে দরপতনের মাত্রা আরও বাড়ে। এতে মূল্য সূচকের বড় পতন দিয়েই দিনের লেনদেন শেষ হয়।
দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে সব খাত মিলে ৬৭টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের স্থান হয়েছে দাম বাড়ার তালিকায়। বিপরীতে দাম কমেছে ৩০৭টি প্রতিষ্ঠানের। আর ২৫টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের দরপতন হওয়ায় ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৪৯ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ৬২৯ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। অপর দুই সূচকের মধ্যে বাছাই করা ভালো ৩০টি কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক আগের দিনের তুলনায় ৭ পয়েন্ট কমে ২ হাজার ৯২ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আর ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক আগের দিনের তুলনায় ৬ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ২১৫ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
সবকটি মূল্য সূচক কমার পাশাপাশি ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণও কমেছে। দিনভর বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৬২১ কোটি ৩৫ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ৬৭৮ কোটি ৮২ লাখ টাকা। সে হিসেবে লেনদেন কমেছে ৫৭ কোটি ৪৭ লাখ টাকা।
এই লেনদেনে সব থেকে বেশি অবদান রেখেছে লিন্ডে বাংলাদেশের শেয়ার। কোম্পানিটির ৩২ কোটি ৩২ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছ। দ্বিতীয় স্থানে থাকা অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজের ৩০ কোটি ৭৬ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ২১ কোটি ১১ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে এমজেএল বাংলাদেশ।
এছাড়া ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ দশ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস, ব্র্যাক ব্যাংক, অগ্নি সিস্টেম, লাভেলো আইসক্রিম, এনআরবি ব্যাংক, মিডল্যান্ড ব্যাংক এবং ইবনে সিনা।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক মূল্য সূচক সিএএসপিআই কমেছে ১৭২ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেন অংশ নেওয়া ২২৮টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৩৯টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১৭০টির এবং ১৯টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। লেনদেন হয়েছে ৭ কোটি ৪১ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ৭ কোটি ৪৩ লাখ টাকা।