হিলি প্রতিনিধি :
দিনাজপুরের হিলিতে এক সপ্তাহের ব্যবধানে কমেছে আলু ও সব ধরনের পেঁয়াজের দাম। কেজি প্রতি ৪ থেকে ৫ টাকা কমেছে আলুর দাম। বর্তমানে বড় জাতের আলু ৪ টাকা কমে ৪৬ টাকা এবং ছোট জাতের আলু ৫ টাকা কমে ৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে কমেছে সব ধরনের পেঁয়াজের দাম। দেশি পেঁয়াজ কেজি প্রতি ২০ টাকা কমে ১১০ টাকায় এবং ভারতীয় পেঁয়াজ কেজি প্রতি ১০ টাকা কমে ৯০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। শুল্ক কমানোর কারণে দাম কমেছে বলছেন খুচরা ব্যবসায়ীরা। দাম কমাতে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে সাধারণ ক্রেতাদের মাঝে।
শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে হিলি বাজার ঘুরে এ তথ্য পাওয়া যায়।
হিলি বাজারে পেঁয়াজ ও আলু কিনতে আসা আশরাফুল ইসলাম বলেন, গত কয়েক দিনের তুলনায় হিলির বাজারে আলু এবং পেঁয়াজের দাম একটু কমেছে। তবে এই ভাবে কমলে আমরা সাধারণ ক্রেতারা সুবিধা পাবো না। কারণ কিছু কিছু ব্যবসায়ী একলাফে ৪০ থেকে ৫০ টাকা বৃদ্ধি করে ৫ থেকে ১০ টাকা কমিয়ে দেয়। এতে করে আমরা সাধারণ ক্রেতারা সমস্যায় পড়ি। আমরা চাই বর্তমান সরকার নিত্যপণ্যের বিষয়ে একটু কঠোর নজরদারি দিবেন। যদি আলু ২০ টাকা এবং পেঁয়াজ ৩০ টাকার মধ্যে থাকতো তাহলে সাধারণ মানুষ একটু ভালোভাবে বাঁচতে পারতো।
হিলি বাজারের আলু ও পেঁয়াজ বিক্রেতা রাশেদুজ্জামান রাশেদ বলেন, এক সপ্তাহের ব্যবধানে হিলিতে আলু এবং পেঁয়াজের দাম কিছুটা কমেছে। আমরা কম দামে কিনে কম দামে বিক্রি করছি। বর্তমানে বড় জাতের আলু ৪ টাকা কমে ৪৬ টাকা এবং ছোট জাতের আলু ৫ টাকা কমে ৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
অন্যদিকে কমেছে সব ধরনের পেঁয়াজের দাম। দেশি পেঁয়াজ কেজি প্রতি ২০ টাকা কমে ১১০ টাকায় এবং ভারতীয় পেঁয়াজ কেজি প্রতি ১০ টাকা কমে ৯০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। ভারত থেকে যদি আমদানি অব্যাহত থাকে তাহলে এই সব নিত্যপণ্যের দাম আরও কমে যাবে।
হিলি কাস্টমসের তথ্যমতে, গত সপ্তাহে ভারতীয় ৩৩ ট্রাকে প্রায় ১ হাজার মেট্রিকটন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে।