নিউজ ডেস্ক :
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গ্যারান্টির বিপরীতে তারল্য সংকটে পড়া দুর্বল ব্যাংকগুলো তুলনামূলক সবল ব্যাংক থেকে ধার পাবে। ব্যাংকগুলো আগামী রোববার থেকেই এ প্রক্রিয়া শুরু করতে পারবে।
বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে চুক্তি সম্পন্ন করেছে তারল্য সংকটে থাকা পাঁচ ব্যাংক। অতিরিক্ত তারল্য থাকা কোনো ব্যাংককে রাজি করাতে পারলেই টাকা পেতে কোনো সমস্যা থাকবে না। বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
আমানত (প্লেসমেন্ট) হিসেবে দুর্বল ব্যাংকে এ অর্থ রাখবে ভালো ব্যাংক। ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদে সিদ্ধান্ত নিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সঙ্গে চুক্তি করেছে পাঁচ ব্যাংক। এসব ব্যাংকের মধ্যে রয়েছে- বেসরকারি খাতের ন্যাশনাল, সোশ্যাল ইসলামী, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী, ইউনিয়ন ও গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক।
চুক্তিপত্রের বিপরীতে এসব ব্যাংক নির্ধারিত মেয়াদে বিশেষ ধার পাবে। এজন্য কোনো সবল ব্যাংককে রাজি করাতে পারলেই ওই ব্যাংক কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গ্যারান্টি সাপেক্ষে ঋণ দেবে। প্রাথমিকভাবে চুক্তি সইয়ের ব্যাপারে বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংকের সম্মতি জানিয়ে পাঁচ ব্যাংক চিঠি দেয়। কাগজপত্র জমা দিয়ে চুক্তি সম্পন্ন করে ব্যাংকগুলো।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র হুসনে আরা শিখা গগণমাধ্যমকে বলেন, পাঁচটি ব্যাংকের সঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের চুক্তি হয়েছে। এখন সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের ওপর নির্ভর করবে তারা কবে নাগাদ অর্থ নিতে পারবে। এখানে কে কত টাকা নিতে পারবে তা-ও সংশ্লিষ্ট ব্যাংক নিজেরাই ঠিক করবে।
এর আগে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ, অনিয়ম আর অব্যবস্থাপনার মাধ্যমে ঋণ জালিয়াতির কারণে দুর্বল হয়ে পড়া ব্যাংকগুলো কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে দ্রুত তারল্য সহায়তা দেওয়ার দাবি জানায়। বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকস (বিএবি) ও বাংলাদেশ ব্যাংকের মধ্যে অনুষ্ঠিত বৈঠকে দুর্বল ব্যাংকগুলোর প্রতিনিধিরা এ সহায়তা চান। অনুষ্ঠিত বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর।
অন্যদিকে প্রচলনে থাকা টাকা তথা ‘নোটস ইন সার্কুলেশন’ কমে তিন লাখ ১৪ হাজার ৫৮৩ কোটিতে নেমেছে। তবে সরকার পতনের পর কেন্দ্রীয় ব্যাংকের টাকার পরিমাণ বাড়তে বাড়তে গত ১৮ আগস্ট তিন লাখ ২২ হাজার ২৭১ কোটিতে উঠেছিল। অথাৎ কেন্দ্রীয় ব্যাংকে ফিরেছে নিট ৭ হাজার ৬৮৮ কোটি টাকা।