নিউজ ডেস্ক :
ভোক্তার স্বার্থ রক্ষায় ৫ দিন আগে ডিম, ব্রয়লার ও সোনালী মুরগির দাম বেধে দিয়েছিল প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর। তবে বেঁধে দেয়া দামে মুরগি বিক্রি হলেও বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে ডিম।
সরেজমিনে শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজধানীর বিভিন্ন গিয়ে এমন চিত্র দেখা যায়।
এদিন প্রতি কেজি সোনালী মুরগি ২৭০টাকা, ব্রয়লার ১৮০ টাকা, দেশি মুরগি ৫৫০ টাকা, দেশী হাঁস ৬৫০ ও কবুতর প্রতি পিস ১৬০ থেকে ১৭০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা যায়। যেখানে প্রতি কেজি সোনালী মুরগি ২৬৯ টাকা ৬৪ পয়সা এবং ব্রয়লার মুরগি ১৭৯ টাকা ৫৯ পয়সা নির্ধারণ করে দিয়েছিল সরকার।
বিক্রেতারা বলছেন, গত ১৫ সেপ্টেম্বর প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর খুচরা পর্যায়ে প্রতিটি ডিমের দর ১১ টাকা ৮৭ পয়সা নির্ধারণ করে দেয়। সে হিসেবে প্রতি ডজনের দর দাঁড়ায় প্রায় ১৪৩ টাকা। যখন ডিমের দাম বেঁধে দেওয়া হয়েছিল, তখন প্রতি ডজন বিক্রি হতো ১৫০-১৫৫ টাকা দরে। যা এরপর আরও বেড়ে এখন ১৬৫ টাকা হয়েছে। অর্থাৎ দাম বেঁধে দেওয়ার পর হালিতে আরও ১০ টাকা বেড়েছে ডিমের দাম।
তেজগাঁও ডিম ব্যবসায়ী বহুমুখি সমবায় সমিতির সভাপতি আমানত উল্লাহ জানান, সেভাবে ডিম আমদানি হচ্ছে না। অন্যদিকে, কয়েক জেলায় বন্যায় হাজার হাজার ফার্মের মুরগি মারা গেছে। ফলে ডিমের উৎপাদন কমেছে। কিন্তু চাহিদা কমেনি। বরং বর্ষাকালে ডিমের চাহিদা বেশি আছে। যে কারণে দাম বাড়ছে।
সবজির বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি বেগুন ১০০ টাকা, সিম ২০০ টাকা, দেশী শসা ৮০ টাকা, হাইব্রিড শসা ৬০ টাকা, করলা ৮০ টাকা, পটল ৬০ টাকা, ঢেড়স ৮০ টাকা ও কাকরল ১০০ টাকা কেজি বিক্রি হতে দেখা যায়।
বাজারে লাউ প্রতি পিস ৬০টাকা, পাতা কপি প্রতি পিস ৭০ টাকা ও মাঝারি সাইজের লেবুর হালি ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
অপরিবর্তিত ছিল পেয়াজ ও আলুর দাম। মানভেদে প্রতি কেজি পেয়াজ ১১৫ থেকে ১২৫ টাকা, আলু ৬০ টাকা, আদা ৩০০ টাকা ও রসুন ২৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।