১০০ টাকার ওপরে বেশিরভাগ সবজির দাম, অস্বস্তিতে ক্রেতারা

নিউজ ডেস্ক : লাগামহীন নিত্যপণ্যের বাজারে স্বস্তি ফিরছে না কোনো কিছুতেই। লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে সবজির দাম। লাগাম না কোনো কিছুতেই। শুহীন নিত্যপণ্যের বাজারে স্বস্তি ফিরছে। শুধু তাই নয়, কাঁচামরিচের দাম ৪০০ টাকা পর্যন্ত ওঠানামা করছে, পেঁয়াজ কিনতে হচ্ছে ১১০ থেকে ১১৫ টাকা কেজি দরে। মুরগি আর মাছের দাম তো আগে থেকেই বাড়তি। বাজারে গিয়ে হতাশ সাধারণ ক্রেতারা।

বিক্রেতারা বলছেন, শুধু রাজধানী ঢাকা নয়, উৎপাদন এলাকায়ও চড়া সবজি দর। শীতের আগাম সবজি উঠতে শুরু করেছে তবুও মোকামগুলোতে সরবরাহ কম। তারা বলছেন, বন্যার কারণে সবজির জোগান কমেছে।

শুক্রবার (১১ অক্টোবর) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সবজির দাম বাড়লেও গত সপ্তাহের চেয়ে ডিম, পেঁয়াজের দাম কিছুটা নিম্নমুখী। ১০০ টাকার নিচে পাওয়া যাচ্ছে শুধু চারটি সবজি। এগুলো হলো পেঁপে, পটোল, ঢ্যাঁড়স ও মুলা। পেঁপে বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৫০-৬০ টাকা দরে। এছাড়া পটোল, ঢ্যাঁড়স ও মুলার কেজি বাজারভেদে ৬০-৮০ টাকা।

বেশিরভাগ সবজির কেজি বিক্রি হচ্ছে ১০০-১৪০ টাকা দরে। এরমধ্যে আছে গোলবেগুন, বরবটি, করলা, ঝিঙা, চিচিঙা, ধুন্দলের মতো সবজি। এসব সবজির দাম ১০০ টাকার নিচে নামছেই না।

সবজির খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, গত সপ্তাহের চেয়ে এসব সবজির দাম বেড়েছে কেজিপ্রতি ১০ থেকে ২০ টাকা।

কয়েক সপ্তাহ ধরে কাঁচামরিচের দাম নিয়ে বেড়েছে ক্রেতাদের অস্বস্তি। আজ শুক্রবার বিক্রি হচ্ছে বাজারভেদে ২৮০ থেকে ৩৪০ টাকা দরে। কখনো কখনো ৪০০ টাকা ছাড়িয়েও যাচ্ছে।

এদিকে, আমদানির উদ্যোগ ও শুল্ক কমানোর খবরে গত তিন দিনে ডিমের দাম কমেছে। শুক্রবার প্রতি ডজন ডিম ১৬০ টাকা বিক্রি হচ্ছে, যা সপ্তাহের শুরুতেই ১৮০ টাকা পর্যন্ত উঠেছিল।

তবে এ সময় ব্রয়লার মুরগির দর কমেনি। এখনো ব্রয়লারের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৮০-২০০ টাকা দরে। সোনালি জাতের মুরগি প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৬০ থেকে ২৮০ টাকায়।

ভারত রপ্তানির শর্ত শিথিল করায় দেশের বন্দরগুলো দিয়ে পেঁয়াজ আসা শুরু হয়েছে। তারপরও কেজিপ্রতি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১১০ থেকে ১১৫ টাকা দরে।

রাজধানীর বাড্ডা-রামপুরা এলাকার বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে পাঙাস মাছ বিক্রি হচ্ছে ২২০ থেকে ২৫০ টাকায়, যা সাধারণত ১৭০ থেকে ১৮০ টাকার মধ্যে বিক্রি হয়ে থাকে। এ ছাড়াও আজকের বাজারে রুই মাছ বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা পর্যন্ত, যা সাধারণত ২৮০ থেকে ৩০০ টাকার মধ্যেই কিনতে পারা যায়। শুধু পাঙাস আর রুই মাছই নয়, দাম বেড়েছে তেলাপিয়া, পাবদা, চিংড়ি, ইলিশসহ প্রায় সব ধরনের মাছেরই।

সাধারণত মাছের বাজার ঘুরে পাঙাস-তেলাপিয়া মাছেই স্বস্তি মিলতো মধ্য ও নিম্নবিত্ত শ্রেণির মানুষের। তবে বাজার ঘুরে দেখা গেছে, আজকের বাজারে তেলাপিয়া মাছ বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ২৮০ টাকা পর্যন্ত, যা সাধারণত ২০০ থেকে ২৫০ টাকার মধ্যে থাকে। এ ছাড়াও বাজারে চাষের কৈ বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৩৫০, কার্প জাতীয় মাছ ৩৫০-৩৮০, চাষের শিং ৪০০, সাগরের পোয়া ৪০০-৬৫০ ও বাইলা মাছ বিক্রি হচ্ছিল ৬৫০-৭০০ টাকায়।

এ ছাড়াও আজকের বাজারে পাবদা মাছ বিক্রি হচ্ছে ৪০০ টাকা, চিংড়ি মাছ ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা, বড় সাইজের ইলিশ মাছ বিক্রি হচ্ছে ২৪০০ থেকে ২৫০০ টাকায়।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়ছে
পরবর্তী নিবন্ধডিমের দাম বৃদ্ধি, সেটা কারসাজি: উপদেষ্টা ফরিদা আখতার