টানা দরপতন পুঁজিবাজারে, মতিঝিলে বিনিয়োগকারীদের বিক্ষোভ

নিজে ডেস্ক :
অব্যাহত দর পতনের মুখে আবারও লেনদেন ছেড়ে আন্দোলনে নেমেছেন শেয়ারবাজারে বিনিয়োগকারীরা। রোববারের পর সোমবারও (২৮ অক্টোবর) বিক্ষোভ করে নাজুক অবস্থা না কাটলে লেনদেন বন্ধের ঘোষণা দিয়েছেন তারা।

এ সময় দেশের পুঁজিবাজার ধ্বংসের দায় নিয়ে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যানের পদত্যাগ করার হুঁশিয়ারি দেন ভুক্তভোগীরা।

ঢাকার পুঁজিবাজারে কেউ বিনিয়োগ করেছেন লাখ টাকা কেউবা কোটির ওপরে। টানা দরপতনে পুঁজি হারিয়ে নিঃস্ব সিংহভাগ বিনিয়োগকারী। বিশেষ করে যারা ঋণ নিয়ে বিনিয়োগ করেছেন ফোর্স সেলের গ্যাঁড়াকলে তাদের দশা আরও করুণ।

বিনিয়োগকারীরা জানান, সংস্কারের নামে বাজার অস্থিতিশীল করা হচ্ছে। বিএসইসি চেয়ারম্যান মাকসুদ কমিশনকে পদত্যাগ করতে হবে।

গত দেড় দশকে বাজারে বাড়া জাঙ্ক শেয়ারের কারসাজি থামাতে কোম্পানিগুলো আলাদা করতে কমিশনের নেয়া উদ্যোগে দেখা দিয়েছে হিতে বিপরীত চিত্র। বিনিয়োগকারীদের দাবি, কোম্পানিকে সাজা দেয়ার নামে কমিশন মূলত তাদের কোণঠাসা করছে।

আরও পড়ুন: পুঁজিবাজারে লাগাতার পতন, কারণ অনুসন্ধানে তদন্ত কমিটি গঠন

সোমবার মতিঝিলে ঢাকা স্টক একচেঞ্জের সামনে করা এই বিক্ষোভ কর্মসূচি থেকে কমিশন চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের পদত্যাগের পাশাপাশি বাইব্যাক আইন চালু করে খারাপ শেয়ার বাজার থেকে তুলে নেয়ার দাবি জানান বিনিয়োগকারীরা। সেইসঙ্গে ফোর্স সেল বন্ধ না করলে বাজার বয়কটের হুঁশিয়ারি দেন তারা।

আন্দোলনকারীরা জানান, অবিলম্বে সব ফোর্স সেল বন্ধ করতে হবে। পাশাপাশি বাইব্যাক আইন চালু করে খারাপ শেয়ার বাজার থেকে তুলে নিতে হবে।

আন্দোলনের পর কর্মঘণ্টাতে মতিঝিলের ব্রোকারেজ হাউসগুলো ঘুরে দেখা যায়, এক সময় লোকারণ্য এসব হাউসে বিনিয়োগকারীর অভাবে এখন সুনসান নীরবতা।

টানা দরপতন খোদ বিএসইসির কাছেও অস্বাভাবিক। বাজার স্বাভাবিক করতে গঠন করেছে চার সদস্যের তদন্ত কমিটি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধআর নয় ব্যাংকে, ঘরে বসে জমা দেওয়া যাবে আয়কর: প্রধান উপদেষ্টা
পরবর্তী নিবন্ধ১৭ বিলিয়ন ডলার পাচার করেছেন হাসিনার ঘনিষ্ঠ ধনকুবেররা: গভর্নর