নিউজ ডেস্ক:
বাংলাদেশের রপ্তানি আয়ের প্রায় ৮০ শতাংশ আসে তৈরি পোশাক খাত থেকে। চার দশকেরও বেশি সময় ধরে এই খাতটি নারীদের জন্য কর্মসংস্থানের বিরাট সুযোগ সৃষ্টি করেছে। যা সমাজের ইতিবাচক পরিবর্তনে বিশেষ ভূমিকা রাখছে। তবে বিভিন্ন জরিপের তথ্য উল্লেখ করে বিশিষ্টজনরা জানান, সাম্প্রতিক সময়ে এ খাতে নারী কর্মীদের হার ৫৫ শতাংশের নিচে নেমে এসেছে। যা তাদের অর্থনৈতিক অবস্থাকে প্রভাবিত করছে।
সোমবার (২৮ অক্টোবর) হোটেল রেডিসন ব্লুতে ইউএসএআইডি’স উইমেন থ্রাইভ ইন বাংলাদেশ প্রকল্প আয়োজিত ‘তৈরি পোশাক খাতে নারীদের টেকসই ভবিষ্যৎ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন বক্তারা। এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) গবেষণা পরিচালক ড. খোন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম।
আলোচকরা জানান, এক সময় এ সেক্টরে কর্মরতদের সিংহ ভাগই ছিল নারী। কিন্তু কম মজুরি, দীর্ঘ কর্ম ঘণ্টা, উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের চাপ, স্বয়ংক্রিয় যন্ত্রপাতি চালানোর দক্ষতার ঘাটতি, কর্মক্ষেত্রে হয়রানি ও নিপীড়ন, সন্তান লালন-পালন, গৃহস্থালির কাজের চাপ সামলাতে গিয়ে তৈরি পোশাক খাতে নারী শ্রমিকের সংখ্যা দিন দিন কমছে। এছাড়া এ খাতে অটোমেশন নারীদের চাকরির সুযোগ কমাচ্ছে এবং লিঙ্গবৈষম্য তৈরি করছে।
আলোচনায় বক্তারা নারীর ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে উৎপাদনশীলতা, কর্মীদের কল্যাণ এবং এ শিল্পের টেকসই উন্নয়নের জন্য তাদের দক্ষতা বৃদ্ধি, পোশাক খাতে সামাজিক ও পরিবেশগত মানদণ্ড মেনে চলা, কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা বৃদ্ধিসহ সার্বিকভাবে নারীবান্ধব কর্ম পরিবেশ নিশ্চিতের আহ্বান জানান।
কেয়ার এশিয়া অঞ্চলের প্রধান রমেশ সিংয়ের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন ইউএসএআইডির ডেমোক্রেসি, হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড গভর্ন্যান্স অফিসের উপ-পরিচালক ব্লেয়ার কিং। ইউএসএআইডি’স উইমেন থ্রাইভ ইন বাংলাদেশ প্রকল্পের চিফ অব পার্টি আমানুর রহমানের সঞ্চালনায় সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন পিভিএইচ করপোরেশনের করপোরেট রেসপন্সিবিলিটি ম্যানেজার বুশরা বিনতে বাতেন, শ্রম অধিদপ্তরের পরিচালক এসএম এনামুল হক, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের যুগ্ম মহাপরিদর্শক মতিউর রহমান, বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিকেএমইএ) সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম।