নিউজ ডেস্ক :
বাজার নিয়ন্ত্রণে এলপি (তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম) গ্যাসের খুচরা ব্যবসায়ীদেরও লাইসেন্সের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) চেয়ারম্যান জালাল আহমেদ।
মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) রাজধানীর কাওরান বাজারে বিইআরসি কার্যালয়ে ভোক্তা পর্যায়ে নভেম্বর মাসের জন্য এলপিজির দাম ঘোষণাকালে তিনি এ কথা বলেন।
বিইআরসি চেয়ারম্যান বলেন, বাজারে নির্ধারিত দামে অনেক সময়ই পাওয়া যায় না গ্যাসের সিলিন্ডার। এ বিষয়ে নজরদারির জন্য নির্দেশনা দেয়া হবে মাঠ পর্যায়ে। এলপি গ্যাসের খুচরা ব্যবসায়ীদেরও লাইসেন্সের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে। এতে নিয়ন্ত্রণে আসবে বাজার।
১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম ১ টাকা কমানো হয়েছে জানিয়ে জালাল আহমেদ বলেন, নভেম্বর মাসের জন্য ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম ১ হাজার ৪৫৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা থেকেই নতুন দাম কার্যকর হবে।
একইসঙ্গে অটোগ্যাসের দামও কমিয়েছে বিইআরসি। নভেম্বর মাসে ভোক্তা পর্যায়ে অটোগ্যাসের মূসকসহ দাম প্রতি লিটার ৬৬ টাকা ৮১ পয়সা নির্ধারণ করা হয়েছে। অক্টোবর মাসে যা ছিল ৬৬ টাকা ৮৪ পয়সা।
গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বিইআরসি জানিয়েছে, নভেম্বর মাসের জন্য সৌদি আরামকোর প্রোপেন এবং বিউটেনের ঘোষিত সৌদি সিপি প্রতি মেট্রিক টন যথাক্রমে ৬৩৫ মার্কিন ডলার ও ৬৩০ মার্কিন ডলার এবং প্রোপেন ও বিউটেনের অনুপাত ৩৫:৬৫ অনুযায়ী প্রোপেন ও বিউটেনের গড় সৌদি সিপি প্রতি মেট্রিক টন ৬৩১.৭৫ মার্কিন ডলার বিবেচনায় নভেম্বর মাসের জন্য বেসরকারি এলপিজি ও অটোগ্যাসের দাম ভোক্তা পর্যায়ে সমন্বয় করা হলো।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালে ৫ দফা কমেছিল এলপিজি ও অটোগ্যাসের দাম, আর বেড়েছে ৭ দফা। গত বছরের জানুয়ারি, মার্চ, এপ্রিল, জুন ও জুলাই মাসে কমেছিল এলপিজি ও অটোগ্যাসের দাম। আর দাম বেড়েছিল ফেব্রুয়ারি, মে, আগস্ট, সেপ্টেম্বর, অক্টোবর, নভেম্বর ও ডিসেম্বর মাসে।