
নিউজ ডেস্ক:
বাংলাদেশ ব্যাংকের ঋণ তথ্য ব্যুরোয় (সিআইবি) ভুল তথ্য দিলে ৫ লাখ টাকা জরিমানা দিতে হবে। ওই তথ্যের পক্ষে সন্তোষজনক কোনো ব্যাখ্যা না পেলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। শাস্তির আওতায় পড়বেন দায়ী কর্মকর্তারাও।
বুধবার (৫ মার্চ) বাংলাদেশ ব্যাংকের ক্রেডিট ইনফরমেশন বিভাগ এক প্রজ্ঞাপনে এ নির্দেশনা দিয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের জারি করা নতুন নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ব্যাংক খাতের ঋণের শৃঙ্খলা সুসংহত করতে সিআইবি তথ্যভাণ্ডারে সংরক্ষিত ঋণ তথ্যের গুণগতমান বজায় ও হালনাগাদ তথ্য সংরক্ষণ আবশ্যক। সিআইবি প্রতিবেদনে ঋণগ্রহীতার ঋণের মাসওয়ারি তথ্য সংরক্ষণ করে সিআইবি কার্যক্রমকে গতিশীল ও কার্যকর করার প্রক্রিয়া চলমান। প্রতিটি ব্যাংক ও ব্যাংক বহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে ঋণগ্রহীতাদের সব ঋণের তথ্য মাসিক ভিত্তিতে পরবর্তী মাসের ১৫ তারিখের মধ্যে সিস্টেমে জমা দিতে হবে। এক্ষেত্রে কোনো ঋণের তথ্য সিস্টেমে জমা দেওয়ার পর সাত কর্মদিবসের মধ্যে প্রযোজ্য ক্ষেত্রে সংশোধন বা বিয়োজন কাজ সম্পন্ন করে তথ্য হালনাগাদ করা যাবে।
এতে বলা হয়েছে, নির্ধারিত তারিখের মধ্যে সিস্টেমে তথ্য হালনাগাদ করতে ব্যর্থ হলে এর কারণসহ বিস্তারিত ব্যাখ্যা তিনদিনের মধ্যে সিআইবিকে জানাতে হবে। ওই ব্যাখ্যা ক্রেডিট ইনফরমেশন ব্যুরোর কাছে সন্তোষজনক বিবেচিত না হলে সংশ্লিষ্ট ব্যাংক বা ব্যাংক বহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা হবে। পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে শৃঙ্খলামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাবে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আরোপিত জরিমানার অর্থ বাংলাদেশ ব্যাংক মতিঝিল অফিসে রক্ষিত সংশ্লিষ্ট ব্যাংক ও ব্যাংক বহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের হিসাব থেকে কেটে নেওয়া হবে। সিআইবি তথ্যভাণ্ডারে নির্ভুল তথ্য প্রদানে ব্যর্থতার ব্যাখ্যা সন্তোষজনক বিবেচিত না হলে দায়ী কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় শৃঙ্খলামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাবে।
উল্লেখ্য, সিআইবি হলো বাংলাদেশ ব্যাংকের বিশেষ একটি বিভাগ। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ঋণবিষয়ক সব ধরনের তথ্য সিআইবিতে সংরক্ষিত থাকে। ঋণ গ্রহণে আগ্রহী কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান আগে ঋণ নিয়েছে কি না, নিয়ে থাকলে তা পরিশোধ করেছেন কি না বা কী অবস্থায় আছে, এসব তথ্য জানা যায় সিআইবির মাধ্যমে। পাশাপাশি ঋণের জামানতের তথ্য ও ঋণ খেলাপির তথ্য পাওয়া যায় এখান থেকে।