
নিউজ ডেস্ক
অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ড. নাহিদ হোসেনের অনৈতিক ও লাগাম ছাড়া ক্ষমতার অপব্যবহার, দূর্নীতির বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। একসময় শেয়ারবাজার বিভাগের প্রধান দায়িত্বে থাকা ড. নাহিদ হোসেন ও তার স্ত্রী-মেয়ে’সহ পরিবারের সদস্যদের তার ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধান করবে দুদক। সেই সঙ্গে অনুসন্ধান পূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়েছে।
গত ৭ মে কমিশনের সহকারী পরিচালক ও অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা মো. রুবেল হাসান স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত চিঠি সাধারণ বীমা কর্পোরেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বরাবর পাঠানো হয়েছে। তাকে অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা বরারব অনুসন্ধানের স্বার্থে রেকর্ডপত্র বা তথ্যাদি সরবরাহ করার অনুরোধ করা হয়।সেই সঙ্গে অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তাকে অনুসন্ধান পূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য বলা হয়েছে।
এতে বলা হয়, অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ড. নাহিদ হোসেন নহিদ হোসেন, স্ত্রী মাকসুদা সুলতানা, শাহমীর হোসেন এবং কন্যা আমিরাহ মরিয়মের একক বা যৌথ নামে কোন প্রিমিয়াম ক্রয় করা হয়েছে কি না; হয়ে থাকলে তা জানা একান্ত প্রয়োজন। অতএব, জরুরীভিত্তিতে চাহিত রেকর্ডপত্র/তথ্যাদি আগামী ২১ মে-এর মধ্যে নিম্নস্বাক্ষরকারীর বরাবর প্রেরণের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সবিনয়ে অনুরোধ করা হলো। এ বিষয়ে আপনার সহযোগিতা একান্ত কাম্য। অনুসন্ধানের সময়ের সীমাবদ্ধতার কারণে বিষয়টি অতীব জরুরী।
জানা গেছে, ড. নাহিদ হোসেন প্রায় ১০ বছর আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগে উপসচিব, যুগ্মসচিব ও অতিরিক্ত সচিবের দায়িত্ব পালন করেন। তিনি অধিকাংশ সময় পুঁজিবাজার, বীমা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান শাখায় কাজ করেছেন। তাঁর বিরুদ্ধে পুঁজিবাজার, বীমা ও আর্থিক খাতে প্রভাব খাটিয়ে অবৈধ অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। অন্যান্য সম্পদের পাশাপাশি অস্ট্রেলিয়ায় তাঁর একটি বিলাসবহুল বাড়ি আছে। এসব অভিযোগের ভিত্তিতে গত বছরের ২০ নভেম্বর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব জামিলা শবনম স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের অতিরিক্ত সচিব থেকে নাহিদ হোসেনকে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করা হয়েছে।