নির্বাচনে অংশ নিতে কাউকে জোর করা সম্ভব নয়: সিইসি

নিজস্ব প্রতিবেদক : প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, কেউ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে কি করবে না, সেটা জোর (ফোর্স) করা নির্বাচন কমিশনের পক্ষে সম্ভব নয়। তবে কমিশনের দায়িত্ব থাকবে সবাইকে নির্বাচনে অংশ নিতে আহ্বান জানানো। সব দল নির্বাচনে অংশ না নিলে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে না। গণতন্ত্র বিকশিত হবে না।

সোমবার (১৮ এপ্রিল) রাজধানীর আগারগাওঁয়ে নির্বাচন ভবনে ইলেকট্রনিক গণমাধ্যমে কর্মরত জ্যেষ্ঠ সাংবাদিকদের সঙ্গে সংলাপে এসব কথা বলেন সিইসি। এর আগে বেলা ১১টা ৮মিনিটে ইসির চতুর্থ ধাপের সংলাপ শুরু হয়।

সিইসি বলেন, একটি সুন্দর ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য সবাইকে চেষ্টা করতে হবে। ইসি যে সংলাপ করছে, তা অর্থহীন নয়।

তিনি বলেন, সংলাপে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) নিয়ে কথা এসেছে। আমরা ইতিমধ্যে এ নিয়ে কয়েকটি মিটিং করেছি। যেহেতু বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন। কিন্তু ইভিএমের যে সুবিধাটা সেখানে পেশি শক্তির ব্যবহার হ্রাস করতে পারে, যেখানে সিল দিয়ে ব্যালট বাক্স পূরণ করা যায় না। কাজেই ইভিএমের ভালো দিক আছে। আমরা ইভিএম নিয়ে স্টাডি করছি, যেটা জামিলুর রেজা চৌধুরী বলেছেন। নির্বাচনে কেউ আসল কি আসল না এটা আমাদের দায়িত্ব নয়, কেউ কেউ বলেছেন। দলগুলো যদি তাদের লোকবল দিয়েই ভারসাম্য করতে পারে, নির্বাচনে যদি দুটো পক্ষ থাকে, তবে দুটো পক্ষকে খেলতে হবে, তাহলে নির্বাচনটা ওইদিক থেকে সহজ হয়।

কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, স্বচ্ছতা খুব গুরুত্বপূর্ণ। ভেতরে ক্যামেরা নিয়ে যদি আপনাদের দেখাতে পারি, কেন্দ্রের ভেতরে যদি ক্যামেরা থাকে, বাইরে যদি মনিটরে দেখা যায়, এগুলো নিয়ে কথা হয়েছে। এগুলো নিয়ে আমার সহকর্মীরাও বিশ্বাস করেন। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের বিচরণ যদি থাকে, তারাও রিপোর্ট করতে পারবেন। একটি সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য এই সমস্ত বিষয়ের প্রয়োজন আছে বলে আমরা মনে করি। আমাদের সাধারণভাবে ওপেন হতে হবে। তথ্য দিতে হবে বলে মনে করি।

সিইসি বলেন, আমাদের সৎভাবে দায়িত্ব পালনের স্পৃহা, চেষ্টা আছে, থাকবে। ব্যাপক অনিয়মের তথ্য আমাদের কাছে আসলে, সাহস নয়, আমাদের দায়িত্ব হয়ে যাবে যথাযথ সিদ্ধান্ত নেওয়ার। অনেক বিধান আমাদের অনুকূলে থাকলেও তা প্রয়োগের হার বাড়াতে হবে। নির্বাচনকে হস্তক্ষেপ মুক্ত রাখতে যা যা করতে হয়, তা তা করতে হবে। তবে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে ভোটাররা যাতে নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারে, তা নিশ্চিত করা। অনেক সময় কারচুপির হয়, সেটা রোধ করতে হবে। আমরা আমাদের সামর্থ্য, দক্ষতা বৃদ্ধির চেষ্টা করবো। আপনারাও আমাদের সহায়তা করবেন।’

পূর্ববর্তী নিবন্ধসপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে পুঁজিবাজারে সূচকের বড় পতন
পরবর্তী নিবন্ধশেয়ারবাজারে ব্যাপক দরপতনের সঙ্গে লেনদেনের খরা দরপতনের যৌক্তিক কারন নেই: মির্জ্জা আজিজ